ছুটির দিনে রাজধানীতে ‘অটো’ লকডাউন
সরকারঘোষিত চলমান কঠোর লকডাউনের নবম দিন চলছে আজ (শুক্রবার)। এদিন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, আদালত, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন জরুরি প্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় লকডাউনের অন্যান্য দিনের তুলনায় রাজধানীতে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। অন্যান্য দিন কঠোর লকডাউনের মধ্যেও সকাল থেকেই রাস্তাঘাটে কর্মমুখী মানুষের ভিড় থাকলেও এদিন মহানগরীর রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি ছিল খুবই কম।
সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, পাড়া-মহল্লার অলিগলি থেকে রাজপথ সর্বত্রই মানুষের উপস্থিতি কম। রাস্তায় খালি রিকশা নিয়ে ঘুরছেন রিকশাচালকরা। হঠাৎ সাইরেন বাজিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ও দ্রুতগতির বড় লরিকে দ্রুতবেগে ছুটে যেতে দেখা গেছে। কারওয়ানবাজারসহ বিভিন্ন পাইকারি বাজার থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা ভ্যানগাড়ি ও রিকশা করে শাক-সবজি কিনে ফিরছিলেন গন্তব্যে। অন্যান্য দিন পাড়া-মহল্লার ফুটপাতে সাতসকালেই বেচাকেনা শুরু হলেও ছুটির দিনে ক্রেতা-বিক্রেতারা আসেন বেশ বেলা করেই।
লকডাউনের শুরু থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যানবাহন ও মানুষের অবাধ চলাচল বন্ধে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। এ কাজে তাদেরকে সহায়তা করে আসছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাব। আজ ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মোড়ে পুলিশ সদস্যরা থাকলেও যানবাহন ও মানুষের চলাচল কম হওয়ায় তারা ফুরফুরে মেজাজে চেকপোস্টের পাশে দাঁড়িয়ে নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলছিলেন।
করোনা সংক্রমণ রোধে ঘরের বাইরে বের হলে মাস্ক পরা, নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা, ভিড় এড়িয়ে চলাসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অত্যাবশ্যক বলে পরামর্শ দিয়ে আসছেন বিশেষজ্ঞরা।
চলমান কঠোর লকডাউনে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপ ও একাধিক মন্ত্রণালয় এবং গণমাধ্যমের সচেতনতামূলক প্রচারণার কারণে অধিকাংশ মানুষই মাস্ক পরছেন। তবে সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি থেকে যাচ্ছে উপেক্ষিত।
এমইউ/এসএস/জিকেএস