টিকাদানে সন্তোষজনক গতি
সারাদেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমে গতি ফিরেছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে টিকাগ্রহণকারীর সংখ্যাও। বর্তমানে দেশে চার ধরনের টিকা দেয়া হচ্ছে।
এগুলো হলো- চীনের তৈরি সিনোফার্ম, যুক্তরাষ্ট্রের মডার্না ও বায়োএনটেকের ফাইজার এবং ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা।
এর আগে চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। তখন ভারত থেকে আনা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়া হয়। কিন্তু মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত টিকাদান কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হলেও মজুত ফুরিয়ে আসায় তা ঝিমিয়ে পড়ে।
এরপর বিভিন্ন উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করে সরকার। ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও জার্মানির টিকা আসে দেশে। জাপান থেকে আসে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১৬ লাখ ডোজ টিকা। সব মিলিয়ে টিকাদানে সন্তোষজনক গতি ফেরে।
মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে দুপুর অবধি দীর্ঘ লাইন ধরে করোনার টিকা নিচ্ছেন মানুষ। প্রচণ্ড রোডে কেউ ছাতা মাথায়, কেউ রাস্তায় বসে টিকা দেয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন।
এদিকে ২৭ জানুয়ারি থেকে ৩ আগস্ট (সোমবার) পর্যন্ত দেশে মোট ১ কোটি ৪০ লাখ ৮৯ হাজার ২০১ ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৯৬ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৭ জন। ৪৩ লাখ ৯১ হাজার ৭৮৪ জন নিয়েছেন দ্বিতীয় ডোজের টিকা।
সবশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে করোনার টিকা নিয়েছেন ৩ লাখ ২২ হাজার ৪৪৩ জন। এদের মধ্যে ২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৮৮ জন প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন। যাতে পুরুষ ১ লাখ ৭০ হাজার ৪৭ ও নারী ১ লাখ ২৮ হাজার ৫৪১ জন। এছাড়া একই সময়ে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ২৩ হাজার ৮৫৫ জন।
এদিকে এখন পর্যন্ত ফাইজারের প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৫০ হাজার ২৫৫ জন। ৪ হাজার ১৯৪ জন নিয়েছেন দ্বিতীয় ডোজের টিকা।
অন্যদিকে সিনোফার্মের প্রথম ডোজের মোট টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা হয়েছে ২৯ লাখ ৮৪৬ জন। দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ৬৮ হাজার ৮০৫ জন।
এছাড়া দেশে এখন পর্যন্ত মডার্নার প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৯ লাখ ২৬ হাজার ২৬৩ জন। ৪৩ লাখ ৯১ হাজার ৭৮৪ জন নিয়েছেন দ্বিতীয় ডোজের টিকা।
গত ২৭ জানুয়ারি থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন মোট ৫৮ লাখ ২০ হাজার ৫৩ জন। ৪৩ লাখ ১৮ হাজার ৭৮৫ জন নিয়েছেন দ্বিতীয় ডোজের টিকা।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (এমআইএস ও লাইন ডিরেক্টর এইচআইএস অ্যান্ড ই-হেলথ) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান জানান, মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত টিকার জন্য নিবন্ধনকারীর সংখ্যা ১ কোটি ৬৬ লাখ ৮৯ হাজার ৩৫ জন।
এমইউ/জেডএইচ/এমএস