করোনায় আরও ২১৫ জনের মৃত্যু
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৬১৩ জনে।
একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ১০ হাজার ১২৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮৬৮ জনে।
এর আগে গতকাল (১১ আগস্ট) করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছিল ১০ হাজার ৪২০ জন এবং একই সময়ে মৃত্যু হয়েছিল ২৩৭ জনের।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১০৭ জন ও নারী ১০৮ জন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৭৮ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৩৪ জন ও বাড়িতে তিনজনের মৃত্যু হয়। দেশে করোনা শনাক্তের পর মৃত্যুহার ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
একই সময়ে সরকারি ও বেসরকারি ৭০৮টি ল্যাবরেটরিতে ৪৫ হাজার ৯৮৮টি নমুনা সংগ্রহ ও ৪৫ হাজার ৭৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৩ লাখ এক হাজার ৫৪৯টি। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৪৬ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৬ দশমিক শূন্য ৮৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৩ হাজার ৯৯০ জন। এ নিয়ে দেশে চিকিৎসা শেষে ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৬২ হাজার ৬৫ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
করোনায় মারা যাওয়া ২১৫ জনের মধ্যে শূন্য থেকে দশ বছরের মধ্যে দুইজন, দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব নয়জন, ত্রিশোর্ধ্ব ১৯ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ১৯ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৫৬ জন, ষাটোর্ধ্ব ৬৩ জন, সত্তোরোর্ধ্ব ৩৬ জন, আশির্ধ্ব নয়জন ও একশ বছরের বেশি বয়সী একজন মারা যান।
বিভাগওয়ারি হিসেবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৬৫ জন, চট্টগ্রামে ৫৪ জন, রাজশাহীতে আটজন, খুলনায় ২৮ জন, বরিশালে ১২ জন, সিলেটে ২২ জন, রংপুরে ১৬ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনা প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর ভাইরাসটিতে একজনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এমইউ/এআরএ/জিকেএস