নির্বাচন না করা গেলে বার কাউন্সিলে অ্যাডহক কমিটির বিধান রেখে বিল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৪১ পিএম, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
ফাইল ছবি

নির্বাচনের আয়োজন না করা গেলে বার কাউন্সিলে অ্যাডহক কমিটির বিধান রেখে সংসদে বিল উত্থাপিত হয়েছে।

অতিমারি, মহামারি, দৈব ঘটনা অথবা অনিবার্য অন্য কোনো কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বার কাউন্সিলের নির্বাচন করা না গেলে কাউন্সিলের কার্যক্রম চলমান রাখতে বিদ্যমান আইন সংশোধনের একটি প্রস্তাব সংসদে উঠেছে। ১৯৭২ সালের এ সংক্রান্ত আইনে সংশোধনের জন্য বিলটি আনা হয়েছে।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংসদের বৈঠকে ‘বাংলাদেশ লিগ্যাল প্রাকটিশনার্স অ্যান্ড বার কাউন্সিল (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২১’ সংসদে উত্থাপন করেন।

করোনার কারণে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন না করতে পারায় বার কাউন্সিল পরিচালনার জন্য ১৫ সদস্যের অ্যাডহক কমিটি গঠন করে গত ২৮ জুলাই একটি অধ্যাদেশ জারি করেন রাষ্ট্রপতি।

অধ্যাদেশ জারির পর সংসদের প্রথম বৈঠকেই সেটি উত্থাপনের নিয়ম রয়েছে। গত ১ সেপ্টেম্বর সেই অধ্যাদেশটি নিয়ম অনুযায়ী সংসদে তোলেন আইনমন্ত্রী। অধ্যাদেশের বিধানগুলো বিদ্যমান আইনে সংযোজন করতেই সরকার বিলটি এনেছে।

খসড়া আইনে বলা হয়েছে, ৩১ মে-এর মধ্যে বার কাউন্সিলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অতিমারি, মহামারি, দৈব ঘটনা অথবা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বার কাউন্সিলের নির্বাচন করা না গেলে সরকার একটি ১৫ সদস্যের অ্যাডহক কমিটি গঠন করবে। এ কমিটির প্রধান হবেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

বিলে বলা হয়, এ এডহক কমিটির মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ এক বছর। কমিটির মেয়াদ বাড়বে না বলেও বিলে উল্লেখ করা হয়।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জরুরি সভা করে গত ৩ এপ্রিল বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এর আগে গত ১৮ মার্চ বার কাউন্সিল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী গত ২৫ মে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।

পদাধিকারবলে বার কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান হন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল। তাকে নিয়ে বার কাউন্সিলের ১৫ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি হয়। ভোটের মাধ্যমে দেশের প্রায় ৫০ হাজার সনদপ্রাপ্ত আইনজীবী তিন বছরের জন্য ১৪ জন প্রতিনিধি নির্বাচন করেন। তার মধ্যে সাধারণ আসনে সাতজন ও দেশের সাতটি অঞ্চল থেকে বাকি সাতজনকে নির্বাচিত করা হয়।

নির্বাচিত সদস্যরা তাদের মধ্য থেকে একজনকে ভাইস চেয়ারম্যান মনোনীত করেন। ২০১৮ সালের বার কাউন্সিল নির্বাচনে ১৪ সদস্যের নির্বাহী কমিটিতে সরকার সমর্থক বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রার্থীরা ১২টি পদে এবং বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা দুটি পদে বিজয়ী হন।

পরে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ভাইস চেয়ারম্যান মনোনীত হন। বার কাউন্সিলের বর্তমান কমিটির মেয়াদ গত জুন মাসে শেষ হয়।

এইচএস/এএএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।