মোহাম্মদপুরে ‘লও ঠেলা’ গ্রুপের হোতাসহ আটক ৯

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:১৩ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০২২
র‌্যাবের হাতে আটক ‘লও ঠ্যালা’ গ্রুপের সদস্যরা

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ‘লও ঠেলা’ নামের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের মূলহোতা বাবু ওরফে দশের বাবুসহ ৯ জনকে আটক করেছে র‌্যাব-২। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) মোহাম্মদপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- বাবু ওরফে দশের বাবু (২৬), ফোরকান (২২), পলাশ (২৩), সুমন (২২), সাগর (২৩), রাজন (২৩), নাজিম (২৪), শাকিল (২০) ও মিলন (২১)। তাদের কাছ থেকে ছুরি, চাপাতি ও স্টিলের পাইপসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) র‌্যাব-২-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু নাঈম মো. তালাত জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

lou-Thela-3.jpg

তিনি জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিং এলাকায় একদল সন্ত্রাসী দোকানপাট, বাড়িঘর ভাঙচুর ও ছিনতাই করে। গত ১৬ জানুয়ারি আবারও নবীনগর হাউজিং এলাকায় মারামারি, ভাঙচুর, ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া যায়।

এমন অভিযোগের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ‘লও ঠেলা’ গ্রুপের ৯ সদস্যকে আটক করা হয়। এই দলের মূলহোতা বাবু ওরফে দশের বাবু। তারা দীর্ঘদিন ধরে মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, মাদক কেনাবেচা, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন।

‘লও ঠেলা’ গ্রুপের প্রধান বাবু ওরফে দশের বাবু ২০০০ সালে মায়ের সঙ্গে নড়াইল থেকে ঢাকায় আসেন। পরে তিনি গাড়ির হেলপার, হোটেলের পরিচ্ছন্নতাকর্মীর চাকরিসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। একপর‌্যায়ে তিনি মাদকাসক্ত হয়ে মাদকের টাকার জন্য ছোট ছোট চুরি-ছিনতাই শুরু করেন।

lou-Thela-3.jpg

লে. কর্নেল আবু নাঈম তালাত আরও জানান, ২০১৪ সালে কিশোর গ্যাং ‘ভাইব্বা ল কিং’-এ যোগ দেওয়ার পর বাবুর অপরাধের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। একসময় তার কুখ্যাতি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে অপরাধ জগতে তিনি ‘দশের বাবু’ নামে খেতাব পান। পরবর্তী সময়ে ‘ভাইব্বা ল কিং’ গ্রুপ থেকে আলাদা হয়ে ২০১৭ সাল থেকে ‘লও ঠেলা’ নামে নিজস্ব গ্রুপ গড়ে তোলেন বাবু।

আটক বাবু বখে যাওয়া ছেলেদের তার গ্রুপে নিতেন। ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধে সম্পৃক্ত ‘লও ঠেলা’ গ্রুপ। এছাড়া জবর দখল, ভাড়ায় শক্তি প্রদর্শন ও আধিপত্য বিস্তারসহ নানা অপকর্মে তাদের ব্যবহার করতেন বাবু। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতি, দস্যুতা, মাদক ও ছিনতাইসহ মোট ৬টি মামলা রয়েছে।

আটক অন্যরা সবাই ক্ষুদ্র ব্যবসা, অটোচালক, রিকশাচালক, গাড়িচালক, দিনমজুরসহ বিভিন্ন পেশার আড়ালে অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িত। আটক ফোরকানের নামে নারী ও শিশু নির‌্যাতন দমন আইনে একটি, পলাশের নামে হত্যাচেষ্টা আইনে একটি ও শাকিলের নামে একটি মাদক মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান র‌্যাব-২-এর অধিনায়ক।

টিটি/এআরএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।