টুইন টাওয়ারে হামলা : মিসরের পাইলটে অনুপ্রাণিত ছিলেন লাদেন


প্রকাশিত: ০৭:২৮ এএম, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

মিসরের এয়ারলাইন্সের এক সহকারী পাইলটের কাছ থেকে টুইন টাওয়ারে ৯/১১ হামলার পরিকল্পনা পেয়েছিলেন আল-কায়দার সাবেক প্রধান ওসামা বিন লাদেন। আল-মাসরা নামে একটি সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনের ‘সেপ্টেম্বর ১১ অ্যাটাকস-দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ শিরোনামের একটি প্রবন্ধে এমন চাঞ্চল্যকর দাবি  করেছে আল-কায়েদা।

প্রবন্ধে দাবি করা হয়েছে, ১৯৯৯ সালে মিসর এয়ারের একটি বিমান ‘দুর্ঘটনা’ থেকে লাদেন টুইন টাওয়ারে বিমান নিয়ে আত্মঘাতী হামলার ব্লুপ্রিন্ট পেয়েছিলেন। বিমানটি ২১৭ জন যাত্রী নিয়ে লস অ্যাঞ্জেলস থেকে কায়রো যাচ্ছিল।

বিমানের সহকারী পাইলট গামিল আল-বাতৌতি পরিকল্পিত ভাবে বিমানটিকে অাটলান্টিক সাগরে অবতরণ করেন। সলিল সমাধি হয় প্রত্যেক যাত্রীর। এদের মধ্যে ১০০ জন মার্কিন যাত্রীও ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে আত্মঘাতী হামলা চালাতে এ ঘটনাটিই লাদেনকে অনুপ্রাণিত করেছিল।

আল-মাসরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে অনেক দিন ধরেই ছক করেছিলেন লাদেন। কিন্তু কীভাবে হামলা চালানো হবে সেটার ব্লুপ্রিন্ট তৈরি পেয়েছিলেন ১৯৯৯ সালে। আল-বাতৌতির কাজকে লাদেন ‘দুঃসাহসিক’ তকমা দিলেও, এক জায়গায় তিনি প্রশ্ন তোলেন। ঘটনাটি শোনার পর তিনি বলেন, সমুদ্রে কেন, সামনের বড় কোনও বিল্ডিংয়ে গিয়ে ক্র্যাশ করাতে পারল না বাতৌতি?

ওই প্রবন্ধে আরও বলা হয়েছে, বাতৌতির কী উদ্দেশ্য ছিল, তাতে মোটেই আগ্রহী ছিলেন না লাদেন। তবে বাতৌতির ভয়ঙ্কর কৌশলকেই তিনি গুরুত্ব দিয়েছিলেন বেশি। আর এখান থেকেই টুইট টাওয়ারে বিমান নিয়ে আত্মঘাতী হামলার ছক করেন লাদেন।

এ পরিকল্পনা নিয়ে খালেদ শেখ মহম্মদের সঙ্গে বৈঠক করেন লাদেন। তবে খালেদ আগে থেকেই আরও একটি ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা করেছিলেন। ১২টি মার্কিন বিমানকে বিভিন্ন জায়গায় একসঙ্গে ক্র্যাশ করানোই ছিল তার উদ্দেশ্য। লাদেন যখন খালেদের কাছে পৌঁছান খালেদ তার পরিকল্পনাটি লাদেনকে জানান। তখন ঠিক হয়; এমন একটা ভবনে আত্মঘাতী বিমান হামলা চালানো হবে যাতে আমেরিকায় ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। আর সেখান থেকেই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ৯/১১-র আত্মঘাতী বিমান হামলার ব্লুপ্রিন্ট তৈরি হয়। আনন্দবাজার।

এসআইএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।