শিবচরে দলীয় মনোনয়ন পেতে মরিয়া প্রার্থীরা


প্রকাশিত: ০৪:১৯ এএম, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

মাদারীপুরের শিবচরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের হাওয়া জোরে-সোরে বইতে শুরু করেছে। চায়ের দোকার, হাট-বাজারে জমে উঠেছে সাধারণ ভোটারদের চায়ের আড্ডা। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেয়ায় প্রার্থীরা দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে দলীয় প্রতীক পাওয়ার দৌড়ে ছুটছেন। প্রায় প্রতিদিনই এলাকার সম্ভাব্য প্রার্থীরা সভা সমাবেশ করছেন। দিচ্ছেন নানা আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, শিবচর উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নে সম্ভাব্য নতুন-পুরাতন চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে ছুটছেন। প্রথমবারের মতো দলীয় প্রর্তীকে নির্বাচন হওয়ার কারণে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নিজ নিজ দলীয় হাই-কমান্ডের নেতাদের কাছে ছুটছেন। বিভিন্ন দলীয় সভা সমাবেশে সাধারণ ভোটারদের নিয়ে প্রার্থীরা দলীয় হাই-কমান্ডের দৃষ্টি আর্কষণের চেষ্টা করছেন।

শিবচর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দলীয় সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- ভান্ডারিকান্দি ইউনিয়নে মো. শওকত হোসেন নান্নু, মো. হাবিুর রহমান মাদবর, আবুল কালাম আজাদ ও নূর মোহাম্মদ হাওলাদার ও শহীদুল ইসলাম হাওলাদার। বাঁশকান্দি ইউনিয়নে নূর মোহম্মদ মল্লিক, আবুল বাসার মুন্সী, মো. আক্কাস আলী মোল্লা, আবুল হোসেন বয়াতি, মো. শাজাহান মোল্লা, মো. সাইফুল ইসলাম রিপন মাদবর ও মো. ফারুক তায়নী, বহেরাতলা ইউনিয়নে (দক্ষিণ) মো. রোমানুজ্জামান মিয়া, মো. অলিউল্লাহ খালাসি ও মো. বিল্লাল হোসেন হাওলাদার।

বহেরাতলা ইউনিয়নে (উত্তর) মো. জাকির হোসেন হয়দার হাওলাদার, মো. নুরু মিয়া, মো. কুটি মিয়া ঢালী। শিবচর ইউনিয়নে মো. রাজন মাদবর, মো. নজরুল ইসলাম, মো. ইব্রাহিম খান, আসাদুজ্জামান মোল্যা (রিপন মোল্লা)। নিলখী ইউনিয়নে-মাস্টার মো. বাচ্চু মাতুব্বর, মো. বাবুল খালাসী, জাহাঙ্গীর হোসেন ভূইয়া, মো. ওয়াসিম মাতুব্বর, মো. রুশো খান, আলীমুজ্জামান খালাসী, আবদুর রহিম লপ্তি ও মো. বকুল লপ্তি।

শিরুয়াইল ইউনিয়নে মুরাদ হাওলাদার, মো. শরাফ উদ্দিন মাতুব্বর, আজিজুল হক মুন্সী। দত্তপাড়া ইউনিয়নে মো. জসিম উদ্দিন খালাসী, মো. জহীর চৌধুরী, মো. রিগ্যান এ চৌধুরী, মো. মুরাদ মিয়া, টুকু ফরাজি, মহাসিন উদ্দিন, মো. পান্নু চৌধুরী, মো. শাজাহান চৌধুরী, মিজানুর রহমান তালুকদার (মিজান), মজিবর রহমান শিশু, মো. নজরুল ইসলাম।

বন্দরখোলা ইউনিয়নে মো. নজরুল ইসলাম (মোতাহার মাদবর), মোতাহার হোসেন খান, মো. নবেল শিকদার, মো. খোকন শেখ, তোতা মিয়া ফকির। মাদবরচর ইউনিয়নে আবদুর রাজ্জাক মোল্যা, মো. সুলতান মাহমুদ চৌধুরী, মো. মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী, মো. সাইদুর রহমান বাবুল হাওলাদার। কাঠালবাড়ী ইউনিয়নে মো. সেলিম হাওলাদার, মো. মোহসেন উদ্দিন সোহেল বেপারী, বি.এম আতাউর রহমান (আতাহার বেপারী,) মো. ফারুক হোসেন বেপারী, আলতাফ বেপারী, মো. আইউব রায়হান লিংকন, মো. মোস্তফা বেপারী, আবদুস সালাম শেখ।

চরজানাজাত ইউনিয়নে মো. বজলুর রহমান সরকার, মো. জাহাঙ্গীর আলম খান, মো. হারুন মুন্সী, আবদুর রহিম মুন্সী, আ. মজিদ বেপারী, মো. নুরুল ইসলাম সরকার, মো. ওয়াসিম সরকার জয়, মো. নাসির উদ্দিন বেপারী, মো. শান্ত বেপারী। কুতুবপুর ইউনিয়নে মো. মনোয়ার হোসেন বেপারী, মো. আতিকুর রহমান মাদবর, মো. ইব্রাহিম শিকদার, মো.লাল মিয়া, মো. জলিল মল্লিক। কাদিরপুর ইউনিয়নে মো. শাহ আলম তালুকদার চাঁন মিয়া, বিএম জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. মাহবুবুর রহমান মাদবর।

দ্বিতীয়া খণ্ড ইউনিয়নে অ্যাড. মো. হাবিবুর রহমান খলিফা, মো. মাহবুল আলম তালুকদার (মাসুম তালুকদার,) মো. হাবিবুর রহমান মৃধা, মো. মফিজ মিয়া, মো. তাইজুল ইসলাম, মো. মোতাহার হাওলাদার, মো. মনির হোসেন কাজী ও মো. সেলিম মোড়ল। পাঁচ্চর ইউনিয়নে মো. দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার, মো. লিয়াকত হোসেন ঢালী, মো. এনায়েত হোসেন হাওলাদার, মো. বাবুল হাওলাদার, মো. লিয়াকত হোসেন সিদ্দিকী (মলি মিয়া)।
 
সন্ন্যাসিরচর ইউনিয়ন আবদুর রউফ হাওলাদার, মো. আক্তারুজ্জামান বাবুল বেপারী, মাস্টার মো. কোহিনুর রহমান, মোস্তাক আহমেদ বরু মোল্যা, মো. গিয়াস উদ্দিন মৃধা, মো. দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার। ভদ্রাসন ইউনিয়নে মো. আবদুর রহিম বেপারী, মো. আবদুর রউফ শিকদার, মো. তোফাজ্জেল হোসেন সরদার। উমেদপুর ইউনিয়নে আবদুল লতিফ মুন্সী, মো. নুরুজ্জামান মুন্সী, মো. তারিকুল ইসলাম (কার্জন মুন্সী), আবদুল হালিম মোড়ল, মো. খোকন উকিল, আবদুল কাদির খালসি, মো. দেলোয়ার হোসেন খান (দিলু খান)। এই তিনটি ইউনিয়নে নির্বাচন কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়েন নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।

শিবচর উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, শিবচর উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নে ২ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৮ জন ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৭ হাজার ৮৮৭ জন এবং ১ লাখ ৮ হাজার ৬০১জন নারী ভোটার। ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন। নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত প্রথম ধাপে ১৬টি এবং দ্বিতীয় ধাপে ৩টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত আরও অল্প সংখ্যক ভোটার মাইগ্রেশন করে বাড়তে পারে বলে নির্বাচন অফিস সূত্র দাবি করেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নের প্রায় সকল ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগের ৪ থেকে ৫ জন পর্যন্ত প্রার্থী রয়েছেন। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলে মাঠ পর্যায়েও কিছুটা সমস্যা হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে একাধিক প্রার্থী থাকায় দলীয় প্রার্থী যাচাই করা কঠিন হবে।

সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বলেন, নির্বাচিত হলে নিজের ওই ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলবো। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর প্রায় প্রত্যেকেই বলেন, আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবো বলে শতভাগ আশাবাদী। ভোটারদের নিজের দলে টানতে অনেকেরই আবার মনোনয়ন চুড়ান্ত হয়ে গেছে সত্য মিথ্যার প্রলোভন দিয়ে প্রচার প্রচারণা শুরু করেন।

শিবচর উপজেলা নির্বাচন অফিসার এবিএম আজমল হোসেন বলেন, ১৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলা গঠিত। আগামী ২৬ মার্চের আগে ১৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেক্ষেত্রে ধারণা করা যাচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত আগামী ২৩ অথবা ২৪ মার্চ তারিখ ১৬টি ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে গতবারে অনুষ্ঠিত ভদ্রাসন, সন্নাসিরচর ও উমেদপুর ইউনিয়নের নির্বাচন কিছু দিন পর অর্থাৎ দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় ওই ৩টি ইউনিয়ন দ্বিতীয় ধাপে অর্থাৎ এপ্রিল মাসের শেষ দিকে অথবা মে মাসের প্রথমে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা রয়েছে।

নাসিরুল হক/এসএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।