লবণাক্ততা বাড়ায় উপকূলে মিঠাপানির মাছের প্রজনন হুমকির মুখে

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উষ্ণতা, সমুদ্রের পানির উচ্চতা এবং লবণাক্ততার বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় মৎস্য সম্পদের ওপর ক্রমশ নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। নদীগুলোতে লবণাক্ত পানি অনুপ্রবেশের ফলে মিঠা পানির মাছ ও প্রাথমিক উৎপাদনশীলতায় পরিবর্তন ঘটছে। মাছের আবাসস্থল, বিচরণক্ষেত্র, অভিপ্রায়ণ ও প্রজননে প্রভাবিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। সরকারি দলের সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও জানান, জলবায়ুর ধারাবাহিক ক্রম অবনতির ফলে মৎস্য সম্পদের ওপর নানা ধরনের বিরূপ প্রভাব দেখা যাচ্ছে। মাছের অনেক আচরণগত বৈশিষ্ট্য পরিবর্তিত হচ্ছে। মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে মাছের প্রজাতি-বৈচিত্র্যেও। এছাড়া তাপমাত্রা বৃদ্ধি, অনাবৃষ্টি ও অপর্যাপ্ত বৃষ্টির ফলে মাছের প্রাকৃতিক আবাসস্থল, প্রজননক্ষেত্র ও লালনক্ষেত্র হ্রাস পাচ্ছে।
একই প্রশ্নের জবাবে রেজাউল করিম বলেন, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমান্বয়ে নিচে নেমে যাওয়ায় পুকুরে পানির স্তর কমে যাচ্ছে। সারা বছর যেসব পুকুরে পানি থাকতো সেসব পুকুর মৌসুমি পুকুরে (শুধু বর্ষায় পানি থাকে) রূপান্তরিত হচ্ছে। আবাদি পুকুরের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ফলে মৎস্য উৎপাদনে বিরুপ প্রভাব পড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের এ বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার লক্ষ্যে সরকার এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে বলে তিনি জানান।
সরকারি দলের সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সারাদেশে খামারের সংখ্যা ১৩ লাখ ৩৮ হাজার ৫৯০টি। এর মধ্যে গরু বা গাভীর খামার দুই লাখ ৭০ হাজার ২৯০, ছাগল ও ভেড়ার খামার ৮ লাখ ৭৩ হাজার ২০০ এবং পোল্ট্রি খামার ১ লাখ ৯৫ হাজার ১০০টি।
একই দলের নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের প্রশ্নের জবাবে শ ম রেজাউল করিম জানান, দেশীয় প্রজাতির বিলুপ্ত প্রায় মাছের সংখ্য্যা ৬৪টি। বিলুপ্ত প্রায় এসব মাছ রক্ষায় সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
এইচএস/এমআইএইচএস/জেআইএম