ডেঙ্গু প্রতিরোধে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা নীতিমালা আসছে: তাজুল ইসলাম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৪৬ পিএম, ২৫ জানুয়ারি ২০২৩
ডিসি সম্মেলনের সপ্তম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

এডিস মশা নিধনের মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সমন্বিত নীতিমালা (ইন্টিগ্রেটেড ভেক্টর পলিসি) করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে সপ্তম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

ডেঙ্গু এখন সারাদেশের সমস্যা। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে মশা নিধন কার্যক্রম ততটা জোরালো নয়। এ বিষয়ে ডিসিদের প্রতি কোনো নির্দেশনা ছিল কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়, সারা পৃথিবীর সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর মশাবাহিত রোগে ৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

আরও পড়ুন: শিশুর ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কী কী ও কখন হাসপাতালে নেবেন? 

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকার এবার কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে সফলতা অর্জন করতে পারেনি স্বীকার করে তিনি বলেন, কিন্তু আমরা যদি সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও ভারতের দিকে তাকাই, তখন দেখা যাবে আমরা ভালো করেছি। আমরা এটা নিয়ে এখনও কাজ করছি।

আগে এটা (ডেঙ্গু) শুধু ঢাকায়ই ছিল, এখন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কার্যক্রম নেওয়ার জন্য সমন্বিত ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট নীতিমালার খসড়া করেছি। এটা আমরা তাদের (ডিসিদের) দেবো। গবেষণার মাধ্যমে ভেক্টরকে কীভাবে ম্যানেজ করা সম্ভব, বিদেশ থেকে সেই তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছি, যোগ করেন মন্ত্রী।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গু প্রতিরোধে এশিয়ায় সফলতার শীর্ষে বাংলাদেশ 

ডিসিদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর উত্তরোত্তর জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার জন্য অবদান রাখতে আমরা কাজ করছি। যেখানে সমন্বয় করা দরকার জেলা প্রশাসকদের সেখানে প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান উভয়ের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সেই নির্দেশনা পরিষ্কারভাবে দেওয়া আছে।

উপজেলায় যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হয় সেগুলো যাতে উপজেলা পরিষদের অধীনে বাস্তবায়ন হয়, এ বিষয়ে ডিসিরা লিখিত প্রস্তাব দিয়েছেন। এ বিষয়ে আপনারা একমত পোষণ করেছেন কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা একমত পোষণ করি। এখানে কোনো কনফ্লিক্ট (দ্বন্দ্ব) আছে বলে আমার জানা নেই। উপজেলা পরিষদে তো সবকিছু আলোচনা হয়েই সিদ্ধান্ত হয়। এটা যারা বলছেন আমার মনে হয় এটা তারা না জেনে কথা বলছেন।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গু হয়েছে কি-না বুঝবেন যেসব লক্ষণে 

জেলা প্রশাসকরা জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনো সমন্বয়হীনতার কথা বলেননি জানিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, তবে দুটি প্রতিষ্ঠানের দুজন ব্যক্তি যখন একই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেন, তখন দেখা যায় কখনো কখনো তাদের মধ্যে ধারণাগত দ্বন্দ্ব হয়। সেটা আবার সময়মতো ঠিক করেও নেওয়া হয়। এটা যুক্তরাষ্ট্রেও হয়। এটা দ্বন্দ্ব নয়, এটা ধারণাগত পার্থক্য।

গ্রামে-গঞ্জে অনেক অপ্রয়োজনীয় স্থাপনা হচ্ছে- এমন দাবি করছেন অনেকেই। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, অপ্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ দুঃখজনক। কোথাও কোথাও কিছু কিছু যে হয়নি- এটা আমি বলতে পারবো না। যেখানে অপ্রয়োজনীয় স্থাপনা হয়েছে, তার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতে কোনো রকম অপ্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ হবে- এটা আমরা আশা করতে পারি না। আমাদের পক্ষ থেকে যেসব সতর্কতা নেওয়া দরকার আমরা নিচ্ছি। উপজেলা পর্যায়ে মাস্টারপ্ল্যান হচ্ছে।

আরএমএম/কেএসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।