এভারকেয়ার থেকে ফিরোজার পথে খালেদা জিয়ার মরদেহ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫৬ এএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
খালেদা জিয়ার মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মরদেহ এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বের করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ৫৩ মিনিটের দিকে হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ বের করা হয়।

কড়া নিরাপত্তায় খালেদা জিয়ার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায়। সেখান থেকে নেওয়া হবে মানিকমিয়া অ্যাভিনিউয়ে। দুপুরে জানাজা শেষে বেগম খালেদা জিয়া চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন তার স্বামী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে।

এভারকেয়ার থেকে নৌবাহিনীর সদর দপ্তর পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে জাতীয় পতাকা, বিএনপির পতাকা নিয়ে অসংখ্য মানুষকে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। অনেককে ছবি তুলতে ও ভিডিও করতেও দেখা যায়।

এদিকে, বুধবারের সকালটা শুরু হয়েছে নিস্তব্ধতায়। নেতাকর্মীদের আহাজারি, হাহাকার, কান্না ও শূন্যতা যেন আকাশ ছুঁইছুঁই। দেশের রাজনীতিতে সেই শূন্যতায় আজ রাষ্ট্রীয় শোক। এভারকেয়ারের সামনেও ভোরে সেই আপনজন হারানোর শূন্যতাই যেন ভর করেছিল। সকালের আলো ফুটতেই বেড়েছে নেতাকর্মীদের ভিড়। বেড়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি নজরদারিও। 

কোটি সমর্থকের হৃদয় শূন্য করে মঙ্গলবার ভোরে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপি চেয়ারপারসনের জানাজা আজ দুপুরে, দাফন সম্পন্ন হবে বিকেলে। জানাজায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা আসছেন। রাত থেকেই আসছেন সাধারণ মানুষও।

jagonews24

এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে জানাজায় অংশ নেওয়া কিছুটা কষ্টের হলেও ভিড় করেন নেতাকর্মীরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা নেতাকর্মীরা অপেক্ষা করেন। অনেকেই ভোরে এসেছেন দেশের নানা প্রান্ত থেকে। কেউবা রাত থেকেই অপেক্ষা করছেন। এভারকেয়ারের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিও বেড়েছে।

ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব সজীব রায়হান গত রাতে সাভার থেকে এসে এভারকেয়ারের সামনে অপেক্ষা করেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে এসেছি। আমি খালেদা জিয়াকে ভালোবাসি। তার রাজনীতি পছন্দ করি। গত রাত থেকে অপেক্ষা কারছি ম্যাডামকে শেষবারের মতো একবার দেখার জন্য। আমাদের বুকে হাহাকার বয়ে যাচ্ছে।

দিয়াউল হক রেজা ভোর ৬টায় এসেছেন সিলেট থেকে। রেজা বলেন, আমরা চারজন রাত ১০টায় রওয়ানা দেই। সকালে এখানে এসেছি। তার জানাজায় অংশ নেবো। এর আগে এখানে এসেছি যদি দেখতে পাই। হয়তো দেখতে পাবো না, তারপরও এসেছি। আর এখান থেকে গিয়েই জানাজায় অংশ নেবো।

ইএইচটি/ইএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।