শিশুরাই ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কারিগর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৩১ পিএম, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, আজকের শিশু ও কিশোররাই ২০৪১ সালের উন্নত-সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কারিগর। তাই শিশুদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা একান্ত অপরিহার্য।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে ইউনিসেফের সহায়তায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাস্তবায়িত এক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার হতদরিদ্র, ছিন্নমূল পথশিশুদের পুনর্বাসন, শিশু শ্রম নিরসন, শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ এবং শিক্ষা ও বিনোদনের সুযোগ নিশ্চিত করতে নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সুবিধাবঞ্চিত কিশোর-কিশোরীদের সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা হলে, তারা সমাজের চেঞ্জ এজেন্ট হিসেবে কাজ করবে।

তিনি বলেন, মা ও শিশুর পুষ্টি চাহিদা পূরণে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির মাধ্যমে ১২ লাখ ৫৪ হাজার মাকে মা ও শিশু বেনেফিট ভাতা দেওয়া হচ্ছে। শিশুদের দারিদ্র্য বিমোচন, পুষ্টি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, মননশীলতা, বিকাশ ও নিরাপদ আশ্রয় ইত্যাদি সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্য, কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।

এ প্রশিক্ষণে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ৬০ জন উপ-পরিচালক ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অংশ নেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল।

আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফের চাইল্ড প্রোটেকশন চিফ নাতালিয়ে ম্যাককৌলি, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, প্রকল্প পরিচালক এস এম লতিফ ও ইউনিসেফের চাইল্ড প্রটেকশন ম্যানেজার এলিজা কল্পনা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সরকার শিশুদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা,পুষ্টি ও কল্যাণের সুযোগ বৃদ্ধি করছে।

এপিসি প্রকল্প দেশের সুবিধা বঞ্চিতদের নারী, শিশু ও কিশোরদের গুণগত মানসম্পন্ন সামাজিক সেবা এবং ইতিবাচক আচরণ চর্চার মাধ্যমে ক্ষমতায়নে কাজ করছে। প্রকল্পটি ২৫টি জেলার ৫০টি উপজেলা এবং ১১টি সিটি করপোরেশনে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২১০০টি কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন ও পরিচালনা, সাঁতার প্রশিক্ষক তৈরি, এক লাখ শিশুকে সাঁতার শেখানো, ৭,৫৪৫ জন কিশোর কিশোরীকে ঝুঁকিপূর্ণ শ্রম থেকে সরিয়ে পড়াশোনায় অংশগ্রহণ করানোর লক্ষ্যে কাজ করছে।

এ প্রশিক্ষণে এপিসি প্রকল্পের শিশুর বিকাশ সম্পর্কিত মডিউল ‘জীবনের যাত্রা’ বিষয়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের জন উপ-পরিচালক ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করছে। অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা উপ-পরিচালক ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাদের মধ্যে মাল্টিমডিয়া প্রজেক্ট বিতরণ করেন।

আইএইচআর/এমআরএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।