দাবি প্রকৌশলীর

ভবনে কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকায় আগুন ছড়িয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৪৩ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ভবন নির্মাকালীন প্রকৌশলী মাহফুজুল হাসান

রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরে যে ভবনে আগুন লেগেছিল, সেই ভবনটিতে কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ছিল। সেখান থেকেই ভবনের প্রতি ফ্ল্যাটে নেওয়া হয় এসির সংযোগ। ফলে আগুন ছড়ায় দ্রুত। বিশেষ করে আগুন ভবনের ওপরের দিক থেকে বেশি ছড়িয়েছে।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভবন নির্মাকালীন প্রকৌশলী মাহফুজুল হাসান সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি জানান, ভবনটিতে অগ্নিনিরাপত্তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা ছিল।

বিজ্ঞাপন

jagonews24

আরও পড়ুন: বিল্ডিং কোড মেনেই ভবনটি করা হয়েছে: আতিক

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এই প্রকৌশলী বলেন, একটি ফ্ল্যাট থেকে প্রথমে ধোঁয়া শুরু হয়, পরে আগুন ছড়িয়েছে। ধোঁয়ার জন্যই বেশি সমস্যা হয়।

ভবনে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে এলার্ম হয়েছে বলে জানান তিনি। প্রকৌশলী মাহফুজুল হাসান বলেন, যারা নিচের দিকে ছিলেন তারা নেমেছেন। আগুন লাগার পর প্রত্যেকেই যদি সিঁড়ি দিয়ে বের হয়ে যেতেন, তাহলে সবাই নিরাপদে বেরিয়ে যেতে পারতেন। অনেক সময় ভুল এলার্ম হয়। যারা বাসায় ছিলেন তারা মনে করেছিলেন ভুল এলার্ম হয়েছে। যখন তারা দেখেছেন আগুন, এবং নিচ থেকে বলছিলেন ‘আগুন লেগেছে সবাই নেমে যান’ তখন যে যতটুকু পেরেছে নেমে এসেছেন।

আরও পড়ুন: ‘চারটা লোক আমার সামনে লাফ দিয়ে পড়ে গেছে’

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ভবনে অগ্নি নির্বাপণ প্রশিক্ষণের একটি টিমও ছিল, তারা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাও নিয়েছেন। প্রত্যেক বাসায় সচেতন করেছেন।

অগ্নিকাণ্ডে ভবনটিতে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাহফুজুল হাসান বলেন, ‘নিউ এইজ’ গার্মেন্টসের এমডি আরিফ ইব্রাহিমের ১০ ও ১১ তালা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমি সব ফ্লোরে গিয়েছি, তবে অন্যান্য ফ্লোরে মূল দরজা বন্ধ আছে।

jagonews24

বিজ্ঞাপন

রাজউকের অনুমতি নিয়ে ভবনটি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভবনটিতে সব সিস্টেমই করা আছে। রাজউক থেকে যেই সার্টিফিকেট দেয় ওটাও নেওয়া আছে।

আরও পড়ুন: আগুন লাগা ভবনে ২৬ ফ্ল্যাট, ২৩টিতে মানুষ ছিল

এছাড়া ওই ভবনের চারতলার এ-৪ ফ্ল্যাটের মালিক ওয়াশিম রেহমান বলেন, ভবনের প্রত্যেকটা ফ্ল্যাটের গ্লাস ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া ফায়ার এক্সটিংগুইশার, ফায়ার হাইড্রেন্ট ও ফায়ার এক্সিটও ছিল। সব কিছুই সচল ছিল। প্রত্যেক দুই সপ্তাহ পর পর এখানে ফায়ার সেশন হতো। আগুনটা অনেক বড় হওয়ায় সেগুলো খুব বেশি কাজে লাগেনি।

বিজ্ঞাপন

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

এর আগে রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ৫৯ মিনিটের দিকে গুলশান-২ নম্বরের ১০৪ নম্বর রোডে ১২ তলা আবাসিক ভবনে আগুন লাগে। এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে রাত ১১টার দিকে। এ ঘটনায় এরইমধ্যে দুজন মারা গেছেন।

আরএসএম/জেডএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।