এবার চলচ্চিত্রে মমতা ব্যানার্জী
অনেকটা চুপিসারেই ছবিটির শুটিং করেছেন নেহাল দত্ত। অন্যরা দূরে থাক, যাকে নিয়ে ছবি, তিনিও জানেন যে তার রোমাঞ্চে ভরা জীবনটা সেলুলয়েডে আসতে চলেছে। বিষয়টা জানাজানির পর সবাই চমকে গেছেন।
খবর হলো- পশ্চিমবঙ্গের আপোষহীন নারী রাজনীতিবীদ ও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে নিয়ে ছবি নির্মাণ হচ্ছে। নাম ‘বাঘিনী- দ্য বেঙ্গল টাইগ্রেস’। ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব রুমা চক্রবর্তী। ছবিতে মমতার আত্মজীবনী তুলে ধরা হলেও সেই তেজস্বী রাজনীতিবীদের নাম থাকবে ইন্দিরা ব্যানার্জী!
সম্প্রতি ছবির ফার্স্ট লুক উম্মোচন কালে একটি ঝমকালো অনুষ্ঠানে এক হয়েছিলেন ছবির পরিচালক, প্রযোজক, সংগীত পরিচালক, অভিনেত্রী রুমা চক্রবর্তী সহ ছবির অন্যান্য কলাকুশলীরা। সেখানেই জানানো হলো এইসব তথ্য। আরো জানা গেছে, মমতা ব্যানার্জীর উপর নির্মিত এই ছবির চিত্রনাট্য লিখছেন অজিতেশ মণ্ডল। ছবিতে গান গেয়েছেন প্রখ্যাত গজল গায়িকা জেনিভা রায়। আসছে এপ্রিলে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে মমতার জীবনী নির্ভর ছবি ‘বাঘিনী’।
পরিচালক ঘোষণা দিয়ে জানালেন, এরইমধ্যে হয়ে গেল ছবিটির প্রি-প্রোডাকশন ও শুটিংয়ের কাজ। প্রকাশ পেয়েছে ছবির প্রথম ঝলক। ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে অন্তর্ভুক্তি, তৃণমূল রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়া এবং জনমানুষের আস্থা আদায় করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে উঠার গল্প নিয়েই নির্মাণ হচ্ছে চলচ্চিত্র ‘বাঘিনী দ্য বেঙ্গল টাইগ্রেস’।
পরিচালক জানান, ‘এটি সবার জন্য সারপ্রাইজ। মুখ্যমন্ত্রীর জন্যও। জানিনা, তাকে সঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি কি না। আশা করছি ভুল-ত্রুটিগুলো ক্ষমা করবেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘ছবিটিকে মুখ্যমন্ত্রীর জীবন সংগ্রাম হিসেবে কেউ দেখবেন না। দেখতে হবে একটি সাধারণ মেয়ের জীবন সংগ্রাম হিসেবে।’
পরিচালক বললেন, এই আত্মজীবনীতে দেখা যাবে, দক্ষিণ কলকাতার এক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের অতি সাধারণ মেয়ে ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। মা মৈত্রীদেবীর স্নেহ আর বাবা প্রমিলেশ্বরের রাজনৈতিক ও মানবিক ছায়ায় যার বড় হয়ে ওঠা। ছোটোবেলা থেকেই প্রতিবাদী চরিত্রে ইন্দিরা। এরপর অন্যায়ের সঙ্গে চিরকালীন আপোষহীন হতে কলেজ জীবনে যোগ দেন রাজনীতিতে।
প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পর নির্বাচনে দাঁড়ান তিনি। জয়ী হন। বিধানসভায় আসেন। বাংলার মানুষের কথা তুলে ধরেন। কিন্তু কয়েক বছর পর তিনি বুঝতে পারে অত্যাচারিত শাসকদলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে একটা আলাদা মঞ্চের প্রয়োজন। আবার নতুন করে যাত্রা শুরু হয়। মায়ের আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে নতুন দল গঠন করেন ইন্দিরা। মানুষের স্বার্থে দীর্ঘ লড়াই চালান তিনি। বাংলার মানুষও স্বীকার করে নেয় ইন্দিরাকে। তিনি স্বীকৃত হন পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে।
এলএ/পিআর