মৈত্রী পাইপলাইন দুই দেশের সহযোগিতার উন্নয়নের মাইলফলক

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩৫ পিএম, ১৮ মার্চ ২০২৩
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন উদ্বোধনকে দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার একটি মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি মৈত্রী পাইপলাইন আমাদের দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে সহযোগিতা উন্নয়নের একটি মাইলফলক অর্জন।

শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

গণভবন থেকে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বোতাম টিপে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন উদ্বোধন করেন।

ভারতীয় লাইন অফ ক্রেডিট (এলওসি) থেকে নেওয়া প্রায় ৩ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ভারতীয় রুপি ব্যয়ে নির্মিত ১৩১ দশমিক ৫ কিলোমিটার মৈত্রী পাইপলাইনের (আইবিএফপিএল) মাধ্যমে বাংলাদেশে ডিজেল রপ্তানি করবে ভারত। ভারতের শিলিগুড়ির নুমালীগড় রিফাইনারি থেকে ১৩০ কিলোমিটার পাইপলাইনে বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর ডিপোতে ডিজেল আমদানি করা হবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে পড়েছে ১২৫ এবং ভারতের অংশে ৫ কিলোমিটার। পাইপলাইনটির হাইস্পিড ডিজেলের (এইচএসডি) বার্ষিক পরিবহন ক্ষমতা এক মিলিয়ন মেট্রিক টন (এমএমটিপিএ)।

পাইপলাইন উদ্বোধনের পর উভয় প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি পারস্পরিক সুবিধার জন্য দেশ দুটির মধ্যে কানেকটিভিটি বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপরও তারা জোর দেন।

আরও পড়ুন>> বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন উদ্বোধন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটি বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা বৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে।

তিনি বলেন, ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু। আমাদের দুই দেশের এ বন্ধুত্ব অটুট থাকুক, সেটাই আমি চাই।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে, সেটাকে আমরা কার্যকর করতে চাই। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা আরও উন্নত করতে চাই, যাতে ভারতের সঙ্গে আমাদের এ বন্ধুতত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে দুই দেশের জনগণের সার্বিক উন্নয়ন ও কল্যাণে আমরা একসঙ্গে কাজ করে যেতে পারি, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

‘কারণ, আমরা চাই আমাদের দেশের এ উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হোক। সেই সঙ্গে আমাদের মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর এবং সিলেট, চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবে উন্নত করেছি। এগুলো ভারতের জন্য সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করে দিচ্ছি যাতে বন্দরগুলো ব্যবহারে ভারতের কোনো অসুবিধা না হয়। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সহজ হবে এবং দুই দেশের মানুষই লাভবান হবে।’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন>> স্মার্ট বাংলাদেশে কেউ ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। আমি চাই, ভারতের বিনিয়োগকারীরা সেখানে এসে আরও বিনিয়োগ করুন। আমরা দুই দেশই তাতে লাভবান হবো।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী দিনেও ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইনের মতো আরও সফলতা বাংলাদেশ-ভারত যৌথভাবে উদযাপন করবে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে একই সঙ্গে কাজ করবে।

এসইউজে/ইএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।