বিড়ালছানার লোভ দেখিয়ে শিশু অপহরণ, আটদিনেও উদ্ধার হয়নি
চট্টগ্রামে বিড়ালছানার লোভ দেখিয়ে অপহরণ হওয়া আয়নী (১০) আটদিনেও উদ্ধার হয়নি। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) আদালতের নির্দেশে পাহাড়তলি থানায় মামলা হয়েছে।
অপহৃত আয়নী পাহাড়তলি থানাধীন আবদুল হাদী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী।
এর আগে আয়নীর পরিবারকে নিয়ে মানবাধিকার আইনজীবীরা আদালতের দ্বারস্থ হন। এরপর অপহরণের অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ডের নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম নারী শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক শরমিন জাহান। অভিযোগটি দায়ের করেন ছাত্রীর মা বিবি ফাতেমা (২৬)।
আরও পড়ুন: প্রেমিকার শর্ত পূরণে শিশু অপহরণ
বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন মানবাধিকার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান।
বাদীপক্ষের আইনজীবী গোলাম মওলা মুরাদ জাগো নিউজকে বলেন, বিড়ালছানা কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ২১ মার্চ কাজীর দীঘি এলাকা থেকে শিশুটিকে অপহরণ করেন রুবেল নামে এক যুবক। সিসিটিভি ফুটেজেও দেখা গেছে রুবেল বিড়ালছানা দেখিয়ে আয়নীকে নিয়ে যাচ্ছেন। এরপর ভিকটিমের পরিবার থানায় জিডি করে।
আইনজীবীদের সঙ্গে আয়নীর পরিবারের সদস্যরা
আইনজীবী আরও বলেন, জিডির পর সন্দেহভাজন ওই অপহরণকারীকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েও ছেড়ে দেয়। এছাড়া ভিকটিমের পরিবার থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেয়নি পুলিশ। ফলে মঙ্গলবার আমরা আদালতে ফৌজদারি অভিযোগ করেছি। আদালত অভিযোগটি শুনে এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: ঝালমুড়ির প্রলোভন দেখিয়ে শিশু অপহরণ, ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ওই শিশুর মা-বাবা দুজনেই পোশাককর্মী। মা চট্টগ্রামে আর বাবা ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। মা কর্মস্থলে থাকার সময় শিশুটি তার দাদুর সঙ্গে বাসায় থাকতো। কয়েকদিন আগে সে তার এক বান্ধবী বিড়ালছানা কিনেছে জানিয়ে তাকেও একটি কিনে দেওয়ার কথা বলে। এসময় তার মা বিবি ফাতেমা বেতন পেলে বিড়ালছানা কিনে দেবেন বলে জানান। এ অবস্থায় ২১ মার্চ আয়নী স্কুলে গেলে আর ফিরে আসেনি।
আরও পড়ুন: ঋণের টাকা পরিশোধে শিশু অপহরণ করেন দুবাইফেরত রানা
এরপর আয়নীর মা খবর পেয়ে বাসায় এসে মেয়েকে খুঁজে পাননি। পরে এলাকার একটি সিসিটিভি ফুটেজে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে আসামি রুবেল আয়নীকে বিড়ালছানা দেওয়ার নাম করে তার বাসায় নিয়ে যান। ফুটেজে দেখা যায়, রুবেল একটি বিড়ালছানা আয়নীর হাতে তুলে দিচ্ছেন। এরপর থেকে ওই শিশুর হদিস পাওয়া যায়নি। একই সঙ্গে গাঢাকা দিয়েছেন রুবেলও।
ইকবাল হোসেন/জেডএইচ/এমএস
