ঈদে লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকছে না
এবার ঈদুল আজহার সময় লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকছে না বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বুধবার (৩১ মে) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সুষ্ঠুভাবে নৌযান চলাচল এবং যাত্রী নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঈদ ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি একথা জানান।
এছাড়া ঈদের আগের ৩ দিন, ঈদের দিন এবং ঈদের পরে ৩ দিন ফেরিতে পচনশীল পণ্য এবং কোরবানির পশু ছাড়া অন্যান্য পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঈদের আগের তিনদিন, ঈদের দিন ও ঈদের পরের তিনদিন পচনশীল পণ্য এবং কোরবানির পশু পারাপার অব্যাহত থাকবে। বাকি সব কিছু বন্ধ থাকবে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিআইডব্লিউটিএ, বিডব্লিউটিসির সার্বক্ষণিক নজরদারি থাকবে।
‘নৌপথ দিয়ে যেসব কোরবানির পশু আসে, সেগুলো অনেক সময় দেখা যায় যেসব হাটে ওঠানোর কথা। কিন্তু সেগুলো আরেক হাটে নিয়ে যাওয়া হয়। আবার টাকা-পয়সার বিষয়ও থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলেছে, ব্যাংকিং চ্যানেলে যাতে টাকাটা লেনদেন করা হয়। জাল টাকার ক্ষেত্রেও তারা ব্যবস্থা করবেন মেশিন বসিয়ে। সবকিছু মিলিয়ে ভালো আলোচনা হয়েছে।’
আরও পড়ুন>> ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ১৪ জুন
এবার নৌপথে কী পরিমাণ যাত্রী হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতবছর আমরা মনে করেছিলাম সদরঘাট খুব রিলাক্সে থাকবে। কিন্তু ঈদের তিন-চারদিন আগে আগের মতোই যাত্রী হয়েছে। পদ্মা সেতু হওয়ার পরেও বরিশাল জেলায় ৪০টি লঞ্চ ঘাট আছে বলে বরিশালের ডিসি বললেন এবং তারা কিন্তু নৌপথে যেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এখানে লাখ লাখ মানুষ, এটা নিরূপণ করা কঠিন ব্যাপার।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বিজিএমইএ, বিকেএমইএকে বলেছি তাদের ছুটিটা যেন ধারাবাহিকভাবে হয়। একসঙ্গে ছুটি দিলে ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। তারাও আমাদের সঙ্গে একমত। তারা বলেছেন, এটার ব্যবস্থা তারা করবেন। ধারাবাহিকভাবে ছুটির ব্যবস্থা করবেন।
‘যত যাত্রী হোক না কেন, আমাদের তো এটা সামাল দিতেই হবে। আমরা জানি এটা ক্যাপাসিটির বাইরে চলে যাবে, তারপরও আমাদের করতে হবে। আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত আছি।’ পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। সেজন্য শিমুলিয়া রুটে মোটরসাইকেল পারাপারের কোনো ব্যবস্থা থাকছে না বলেও জানান তিনি।
আরএমএম/এসএনআর/এএসএম