শখে ট্রেনে উঠে পরিবারছাড়া অঞ্জনা, ৭ বছর পর মিললো খোঁজ

শিশু বয়সে ভৈরব থেকে শখের বসে ট্রেনে উঠেছিল অঞ্জনা আক্তার (১৮)। ভেবেছিল ট্রেন ঘুরে এসে তাকে ভৈরবেই নামিয়ে দেবে। কিন্তু হয়েছিল তার উল্টো। ট্রেনটি তাকে নিয়ে যায় ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে। ট্রেন থেকে নেমে সে মন খারাপ করে স্টেশনেই বসে থাকে। এসময় অপরিচিত একজন তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে শর্মী নামের এক নারীর কাছে বিক্রি করে দেয়। এরপর সেই নারীর রান্নাঘরেই সাত বছর কেটে যায় অঞ্জনার।
শেষপর্যন্ত রাজধানীর ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় খোঁজ মেলে অঞ্জনার। বুধবার (৩১ মে) রাতে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশু নির্যাতন আইনে ভাটারা থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। আসামি শারমিন হোসেন (৪৫) পলাতক।
আরও পড়ুন: ব্যাগগুলো পড়ে আছে, মানুষগুলো নিখোঁজ
বৃহস্পতিবার (১ জুন) সকালে জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানান ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম আসাদুজ্জামান।
তিনি জানান, আমরা জরুরি সেবা ৯৯৯-এ খবর পেয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ডি ব্লকের একটি বাসা থেকে অঞ্জনাকে উদ্ধার করি। প্রথমে পুলিশ যাওয়ার পর ওই গৃহকর্ত্রী তার বাসায় কোনো গৃহকর্মী নেই বলে জানান। অবশেষে আমরা ওই মেয়েকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। মেয়েটিকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হতো। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজ নয়, তাবলিগে গিয়েছিলেন বুয়েটের সেই শিক্ষার্থী
ভাটারা থানার ওসি বলেন, অঞ্জনার এক আত্মীয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছি। দীর্ঘদিন কোনো যোগাযোগ না থাকায় একটু সময় লেগেছে। তার এক আত্মীয় ভাটারা থানায় বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আমরা অঞ্জনাকে আদালতে পাঠিয়েছি। আর আসামি এখনো পলাতক। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আরএসএম/জেডএইচ/জিকেএস