‘এনএসডিএস প্রণয়নে সব অংশীজনের মতামত নেওয়া আবশ্যক’
নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান প্রণয়নে জাতীয় পরিসংখ্যান উন্নয়ন কৌশলপত্রে (এনএসডিএস) সব অংশীজনের মতামত গ্রহণ আবশ্যক বলে জানিয়েছেন প্রকল্পটির পরিচালক মো. দিলদার হোসেন।
এনএসডিএস সংশোধন ও হালনাগাদ সংক্রান্তবিষয়ক কর্মশালায় একথা জানান তিনি। বুধবার (৭ জুন) রাজধানীর হোটেল শেরাটনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) আয়োজনে এ কর্মশালা হয়।
এসময় এনএসডিএস প্রকল্পের পরিচালক বলেন, ইতোপূর্বে প্রণীত এনএসডিএস’র মেয়াদ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। ফলে উন্নয়ন পরিকল্পনায় বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্তি এবং ভবিষ্যতের সম্ভাব্য প্রয়োজনীয়তাসমূহ বিবেচনায় এনে এনএসডিএস পুনর্বিন্যাস বা হালনাগাদ আবশ্যক। এ লক্ষ্যে ১-২ মার্চ পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর কর্মকর্তাদের নিয়ে দুই দিনব্যাপী কর্মশালা হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষা ও পরিসংখ্যানের মানোন্নয়নে ৭২ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
তিনি আরও বলেন, কর্মশালায় পাওয়া সুপারিশ সংশোধন ও হালনাগাদ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি বিবেচনায় আছে। অন্যান্য অংশীজনদের মতামত সুপারিশ গ্রহণের জন্য পর্যায়ক্রমে আরও কর্মশালা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। গাইডলাইন অনুযায়ী সময়োচিত, নির্ভুল এবং নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান প্রণয়নের লক্ষ্যে এনএসডিএস প্রণয়ন প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া প্রয়োজন। এ কারণে সব অংশীজনের মতামত গ্রহণ আবশ্যক। এক্ষেত্রে আমাদের অগ্রাধিকারগুলো চিহ্নিত করে কৌশলগত লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে।
এনএসডিএস প্রকল্পের পরিচালক দিলদার হোসেন বলেন, বিভিন্ন পর্যায়ে পরিসংখ্যান ব্যবস্থাপনা জোরদার এবং সমন্বয় ব্যবস্থার পুনর্বিন্যাস করতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে পরিসংখ্যান প্রণয়ন এবং এর ব্যবহার বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। পরিসংখ্যানকে অধিকতর আস্থা অর্জনের জন্য প্রণয়নকারী এবং ব্যবহারকারীদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিবিএস তথ্যে সন্তুষ্ট ৮৫ শতাংশ, বেশি ব্যবহার শিক্ষা-গবেষণায়
দিলদার হোসেন জানান, এনএসডিএস হলো দেশের পরিসংখ্যান ব্যবস্থার সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে গৃহীত একটি বিস্তারিত, বাস্তবসম্মত, অংশগ্রহণমূলক, পরিবর্তনশীল এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পরিকল্পনা দলিল। বর্তমানে এনএসডিএস টেকসই পরিসংখ্যান প্রণয়নের একটি সমন্বিত বাস্তবায়ন কাঠামো হিসেবে কাজ করছে। এ কৌশলপত্র প্রণয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যবস্থার একটি যুগোপযোগী দৃঢ় ভিত্তি তৈরি করা হয়েছে। যার ওপর নির্ভর করে তথ্যভিত্তিক, সঠিক ও ফলপ্রসূ জাতীয় নীতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা সহজ হচ্ছে।
কর্মশালায় তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ সরকার পরিসংখ্যান ব্যবস্থাকে অধিকতর যুগোপযোগী, শক্তিশালী ও সুসংহত করার জন্য ২০১০ সালে ‘পরিসংখ্যান বিভাগ’ পুনর্গঠন করে। যা ২০১২ সালে ‘পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ নামে সম্প্রসারিত হয়।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, বিবিএস মহাপরিচালক মো. মতিয়ার রহমান।
বিবিএস জানায়, ২০১৩ সালে প্রণীত এনএসডিএস’র মেয়াদ চলতি বছরের জুনে শেষ হবে। এজন্য বর্তমানে ক্রমবর্ধমান পরিসংখ্যানিক চাহিদা পূরণ ও এসডিজি পরিবীক্ষণে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব বিবেচনায় এ দলিলটি পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জনপূর্বক হালনাগাদ করা প্রয়োজন।
এমওএস/জেডএইচ/এএসএম