বিদ্যুৎসংকট কমাতে উৎপাদন বাড়াচ্ছে ‘এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট’
ডলার ও জ্বালানির বৈশ্বিক সংকটে দেশের সবচেয়ে বড় পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বেশকিছু কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে দেশজুড়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং হচ্ছে, সঙ্গে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ। আর প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের মধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ব্যাহত হচ্ছে তাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন। তবে আশার কথা হচ্ছে, ঈদুল আজহার আগেই অর্থাৎ আগামী দু’এক সপ্তাহের মধ্যে একটি ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে সর্বোচ্চ ধারণ-ক্ষমতার সমপরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে এস আলম গ্রুপের এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট। এতে বর্তমান নাজুক বিদ্যুৎ পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হবে।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারায় অবস্থিত এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির অপর ইউনিট থেকেও খুব শিগগির জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রক্রিয়া চলছে। এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট বিদ্যুৎ সংকট কমিয়ে জনমনে স্বস্তি আনতে ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন>> ১০-১৫ দিন পর আর বিদ্যুতের কষ্ট থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী
গত ২৪ মে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের দুটি ইউনিটের মধ্যে একটি ইউনিট থেকে পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। পাওয়ার প্ল্যান্টটি এখন সর্বোচ্চ ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করে যাচ্ছে।
এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, খুব শিগগির সর্বোচ্চ ক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সব প্রস্তুতি নেওয়া করেছে। এর মধ্যে চীন থেকে কয়লা এসেছে পাওয়ার প্ল্যান্টের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য। এ মাসেই আরও একটি কয়লার চালান চট্টগ্রামে এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টে দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা আশা করছি- খুব শিগগির একটি ইউনিটের সর্বোচ্চ উৎপাদন ক্ষমতায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে এসএস পাওয়ার। এতে লোডশেডিংয়ের কারণে সৃষ্ট অসহনীয় ভোগান্তি অনেকটাই কমে আসবে। এছাড়া অতি শিগগির পূর্ণ সক্ষমতায় পাওয়ার প্ল্যান্টের অপর ইউনিটও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। জ্বালানি হিসেবে আমাদের কাছে এরই মধ্যে কয়লার পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে এবং আরও একটি চালান চলতি মাসেই চট্টগ্রাম এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।’
চীনা প্রতিষ্ঠান সেপকো থ্রি’র যৌথ উদ্যোগে ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ইউএস ডলার অর্থাৎ ২৮ হাজার কোটিরও বেশি টাকা ব্যয়ে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র- এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টটি নির্মাণ করেছে দেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারি এ মেগাপ্রজেক্টটি বাস্তবায়নের ফলে জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা আরও সুদৃঢ় হওয়ার পাশাপাশি শিল্প ও সেচ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটবে।
আইএইচআর/এমএএইচ/ইএ