তাপমাত্রা আরও কমতে পারে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩৮ পিএম, ০৮ জুন ২০২৩
ফাইল ছবি

বৃষ্টি বেড়ে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। এতে তাপপ্রবাহের মাত্রার সঙ্গে সঙ্গে আওতাও কমেছে। শুক্রবারও দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ ছাড়া সব বিভাগেই বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির প্রবণতা বেশি ছিল চট্টগ্রাম বিভাগে। পুরো চট্টগ্রাম জুড়েই বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকলেও পুরো বরিশালেও বৃষ্টি হয়েছে।

টানা কয়েকদিন ধরে দাবদাহে মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত, বৃষ্টি বাড়ায় গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলিছে। বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়ও। বৃহস্পতিবার সারাদিনই ঢাকার আকাশ মেঘে ঢাকা ছিল। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঘন কালো মেঘে সন্ধ্যার আধার নেমেছিল নগরে। তবে যেমন মেঘের আয়োজন ছিল, তেমন বৃষ্টির দেখা মেলেনি। দফায় দফায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে। তাপমাত্রা অনেকটা কমলেও বাতাসে অতিরিক্ত জলীয় বাষ্পের কারণে স্বস্তি ফেরেনি নগর জীবনে।

বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি ৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ফেনীতে। ঢাকায় ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাজশাহীতে। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে কমে হয়েছে ৩৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বুধবার পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, যশোর, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বইছিল, অর্থাৎ এসব অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়েছিল। আজ এসব অঞ্চলে তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি কমে দূর হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ।

আরও ভালো খবর হলো, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষা) এরই মধ্যে টেকনাফ উপকূলে এসে পৌঁছেছে। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু কক্সবাজার উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে। পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায়; ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

রাজশাহী, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, নেত্রকোনা ও সিলেট জেলাসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।

নাজমুল হক আরও জানান, আগামী দু’দিনে মৌসুমী বায়ু চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে। আগামী পাঁচদিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।

সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল
বুধবারের মতো বৃহস্পতিবারও সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত থাকার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে সতর্কবার্তায়।

নদীবন্দরগুলোতে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত
বৃহস্পতিবার রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, ফরিদপুর, মাদারীপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্রগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আরএমএম/এমআইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।