আপদকালীন পরিকল্পনার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করলেন চসিক মেয়র

দুর্যোগে চট্টগ্রামের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমাতে আপদকালীন পরিকল্পনা ‘মাল্টি হ্যাজার্ড কন্টিজেন্সি প্ল্যান’ এর চূড়ান্ত রিপোর্ট গ্রহণ করেছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। পরিকল্পনাটি প্রণয়নে প্রধান পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহ জালাল মিশুক। পাশাপাশি পরিকল্পনাটি প্রণয়নে সহযোগিতা করেছে উন্নয়ন সংস্থা ইপসা ও সেভ দ্য চিলড্রেন।
বুধবার (৭ জুন) আন্দরকিল্লা চসিক ভবনের কে বি আব্দুস সাত্তার মিলনায়তনে আয়োজিত এক সভায় এ পরিকল্পনা তুলে ধরেন সিটি মেয়র।
তিনি বলেন, আজকের চট্টগ্রাম একসময় প্রচুর জলাশয়ে ভরপুর ছিল। কিন্তু নতুন কৌশল হিসেবে একশ্রেণির মানুষ প্রথমে পুকুরে আবর্জনা দিয়ে ভরাট করছে, পরে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। একইভাবে একশ্রেণির প্রভাবশালী রাতের অন্ধকারে পাহাড় কেটে বসতবাড়ি করছে। সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে এ ব্যাপারে কঠোর ভূমিকা রাখতে হবে।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের পরিচালনায় সভার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ইপসা (প্রয়াস-২) প্রকল্প সমন্বয়কারী সানজিদা আক্তার। চসিকের জন্য প্রণীত মাল্টি হ্যাজার্ড কন্টিজেন্সি প্ল্যানের ওপর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন চুয়েটের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহজালাল মিশুক।
প্রেজেন্টেশন শেষে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন চসিক প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, চসিকের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. জহুরুল আলম জসিম, চসিক কাউন্সিলর এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।
ইপসা এবং সেভ দ্য চিলড্রেন (প্রয়াস-২) প্রকল্পের আওতায় কনসালটেন্সি প্ল্যানের সহযোগিতায় ২০১৯ সাল থেকে চসিকের সঙ্গে কয়েক দফা মিটিং এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে পরিভ্রমণ, কেআইআই, এফজিডি, পরবর্তীতে কয়েক দফা বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে মতামত গ্রহণের মাধ্যমে এবং সবশেষ চসিকের অনুমোদন সাপেক্ষে এটি চূড়ান্তভাবে প্রণীত হয়। আপদকালীন পরিকল্পনায় চট্টগ্রামের নানাবিধ দুর্যোগের উৎস বর্ণনা এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণের বিষয়গুলো বিশদভাবে তুলে ধরা হয়।
ইএ