সিসি ক্যামেরায় রাজশাহী-সিলেট সিটির ভোট পর্যবেক্ষণ করছে ইসি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৩২ এএম, ২১ জুন ২০২৩
ঢাকার কমিশন ভবন থেকে রাজশাহী-সিলেটের ভোট মনিটরিং

রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টায় দুই সিটিতে ভোটগ্রহণের শুরু থেকেই রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবন থেকে ইসির মনিটরিং শুরু হয়েছে।

প্রায় আট লাখ ভোটারের দুই সিটিতে ২ হাজার ৫০০টির মতো ভোটকক্ষে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

আরও পড়ুন: রাজশাহী-সিলেট সিটিতে ভোটগ্রহণ শুরু

এদিন সকাল থেকে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা ও মো. আলমগীর নির্বাচন ভবনের বেজমেন্টে স্থাপিত সিসিটিভি মনিটরিং কন্ট্রোল রুম থেকে রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সরাসরি মনিটরিং করছেন।

ইসির সহকারী জনসংযোগ পরিচালক আশাদুল হক জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট চলছে, কোথাও কোনো ধরনের গোলযোগ বা অপ্রীতিকর ঘটনা কমিশনের নজরে আসেনি।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, সিলেট সিটিতে ৩ হাজার ২০৪টি এবং রাজশাহীতে ২ হাজার ৫০০টি ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলছে। ১ হাজার ৭৪৭টি সিসি ক্যামেরা দিয়ে সিলেট সিটি এবং ১ হাজার ৪৬৩টি সিসি ক্যামেরা দিয়ে রাজশাহী সিটি নির্বাচন ভবন পর্যবেক্ষণ করছে কমিশন।

আরও পড়ুন: রাজশাহী সিটিতে ১৫৫ ভোটকেন্দ্রের ১৪৮টিই ঝুঁকিপূর্ণ 

এদিকে ভোটারদের সুবিধার জন্য আজ এ দুই সিটিতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ইসি জানিয়েছেন, নির্বাচনী এলাকায় সীমিত আকারে যান চলাচল করবে। সিসিটিভির মাধ্যমে ঢাকার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবন থেকে দুই সিটির ভোট সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে।

সিলেট সিটিতে ১৯০টি ভোটকেন্দ্রের এক হাজার ৩৬৭টি ভোটকক্ষে ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৭৫৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৪ হাজার ২৩৬ জন, নারী ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন এবং ছয়জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার।

এ সিটিতে মেয়র পদে আটজন, ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৯৪ জন এবং ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৮৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আরও পড়ুন: ভোট শুরুর আগেই ভোটারদের লাইন, নারীর উপস্থিতি বেশি

মেয়র প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মো. নজরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান, জাকের পার্টির মো. জরিহুল আলম, স্বতন্ত্র মো. আব্দুল হানিফ, মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন, মো. শাহ জাহান মিয়া এবং মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা।

অন্যদিকে রাজশাহী সিটিতে ১৫৫টি ভোটকেন্দ্রের এক হাজার ১৫৩টি ভোটকক্ষে ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে এক লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন পুরুষ ভোটার। নারী ভোটার এক লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন এবং ছয়জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন। রাজশাহীর সব কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ, থাকছে সিসি ক্যামেরা।

এ সিটিতে মেয়র পদে চারজন, ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১১১ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আরও পড়ুন: রাজশাহী সিটি নির্বাচনে বেড়েছে কোটিপতি প্রার্থী

মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, জাতীয় পার্টির মো. সাইফুল ইসলাম স্বপন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. মুরশিদ আলম এবং জাকের পার্টির মো. লতিফ আনোয়ার।

এমওএস/এমকেআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।