ট্রাকচাপায় সাংবাদিকের মৃত্যু

চালকের ছিল না ভারী যানের লাইসেন্স, ৮ টনের ট্রাকে বালু ছিল ১৪ টন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৩৪ পিএম, ০৭ আগস্ট ২০২৩

গত ৪ আগস্ট গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বেপরোয়া গতির ডাম্প ট্রাকের চাপায় সাংবাদিক মঞ্জুর হোসেন মিলন (৫২) নিহত হন। ঘাতক ট্রাকের চালক আহাদ মিয়ার (২৬) ভারী যানবাহন চালানোর কোনো বৈধ লাইসেন্স ছিল না। ট্রাকটির ধারণ ক্ষমতা ছিল ৮ টন। অথচ ট্রাকে আনুমানিক ১৪ টন ওজনের বালু বোঝাই ছিল।

এ ঘটনায় সাংবাদিক মিলনের স্ত্রী রিমিন আক্তার বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা করেন। সোমবার (৭ আগস্ট) সকালে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থেকে আহাদ মিয়াকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

jagonews24

সাংবাদিক মঞ্জুর হোসেন মিলন

আরও পড়ুন: গাজীপুরে ট্রাকচাপায় সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় চালক গ্রেফতার

তিনি বলেন, ট্রাকচালক আহাদ গত শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকালে বালু বোঝাই ড্রাম ট্রাক নিয়ে কাপাসিয়া থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। ট্রাকে অতিরিক্ত বালু বোঝাই সত্ত্বেও দ্রুত পৌঁছাতে তিনি বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছিলেন। সকাল সোয়া ৯টায় কাপাসিয়া উপজেলার কোর্টবাজালিয়া বাজারে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা সাংবাদিক মিলনের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয় ট্রাকটি। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

র‌্যাব জানায়, সাংবাদিক মিলন গাজীপুর সিটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। ওইদিন সকালে তিনি সংবাদ সংগ্রহের কাজে কাপাসিয়া যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার পর চালক ট্রাক রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।

jagonews24

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‌্যাব জানায়, আহাদ গত সাত বছর ধরে মাহিন্দ্রা, পিকআপভ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চালাচ্ছিলেন। তার মাঝারি যানবাহন চালানোর ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলেও ভারী যানবাহন চালানোর কোনো বৈধ লাইসেন্স ছিল না। এছাড়া ধারণক্ষমতার চেয়ে ট্রাকটিতে প্রায় ৬ টন বেশি ওজনের মাল বোঝাই করা ছিল। মামলা দায়েরের বিষয়টি জানার পর গ্রেফতার এড়াতে আহাদ মুন্সিগঞ্জের লৌহজং এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে থাকেন।

আরও পড়ুন: গাজীপুরে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেলো সাংবাদিকের

লাইসেন্স দেওয়ার ও তদারকির বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) দায় রয়েছে কি না, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে খন্দকার আল মঈন বলেন, বিআরটিএ যদি নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে, তাহলে শাস্তির ভয়ে চালকেরা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাবেন না। তখন অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনাও কমে আসবে।

গ্রেফতার আহাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

আরএসএম/এমকেআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।