সিলেটে ভোটগ্রহণে ধীরগতি : ভোটারদের ক্ষোভ


প্রকাশিত: ০৯:২৯ এএম, ২২ মার্চ ২০১৬

সিলেটে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও ভোটগ্রহণের ধীরগতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভোটাররা। কয়েকটি কেন্দ্রে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও ভোট দিতে না পারায় অনেক নারী ভোটারকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

সিলেট সদর উপজেলার খাদিমপাড়া ইউনিয়নের এটিআই কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা আনোয়ারা বেগম জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তিনি লাইনে ছিলেন। সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে না পারায় তিনি বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। তবে, বিকেল বেলা আবার ভোট দিতে আসবেন বলে জানান তিনি।

একই কেন্দ্রের ভোটার সালমা বেগম ক্ষোভের সুরে বলেন, রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে ভোট দেয়া সম্ভব নয়। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে না পারায় তিনি বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।

Sylhet-UP-Voteএই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার রাশেদুল ইসলাম জানান, এই কেন্দ্রে ৪ হাজার ৭২১টি ভোটের মধ্যে বেলা পৌনে ১টা পর্যন্ত ১৬০০-১৮০০ ভোট কাস্ট হয়েছে। একই রুমে ১৩টি পোলিং বুথ থাকায় ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে কিছুটা শ্লথগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। তবে এটা কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।

সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার ওসি শাহজালাল মুন্সি জানান, এ কেন্দ্রে বেশি ভোটার এবং একই রুমে ১৩টি বুথে ভোটগ্রহণ করায় পুলিশ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। কেন্দ্রে একটি মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স সার্বক্ষণিক মোতায়েন রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

খাদিমনগরের বোরজান চা বাগান কেন্দ্র ও টৃকেরবাজার ইউনিয়নের শাহ খুররম ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রেও ধীরগতিতে ভোটগ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

খাদিমপাড়া ইউনিয়নের কৃষ্ণ গোবিন্দ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার বেলা দেড়টার দিকে জানান, তার কেন্দ্রে শতকরা ৩০ ভাগ ভোট কাস্ট হয়েছে। কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা ৩,৫৯৭ জন বলে জানান তিনি।

সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার কামরুল আহসান জাগো নিউজকে জানান, সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সিলেটের কোনো কেন্দ্রে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তিনি নিজে বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন বলে জানান।

এ বিষয়ে জেলা নির্বাচনী অফিসার আজিজুল ইসলামও সিলেট সদর উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।

ছামির মাহমুদ/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।