রোগী সেজে ভারতে গিয়ে মাদক নিয়ে বিমানে দেশে ফিরতেন তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:২৬ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেল এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ট্যাপেনটাডোল ট্যাবলেটসহ পাঁচ মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।

সংস্থাটি বলছে, এ চক্রের সদস্যরা একজনকে রোগী সাজিয়ে সীমান্ত এলাকা দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে যেতো। এরপর সেখান থেকে বিমানে করে বিপুল পরিমাণ মাদক নিয়ে দেশে ফিরতো। প্রতি মাসে চক্রের সদস্যরা অন্তত চার-পাঁচবার এভাবে যাতায়াত করতো।

গ্রেফতাররা হলেন- চক্রের মূলহোতা সোলাইমান (৪৪), হৃদয় ইসলাম রাজু (২৯), এ কে এম আবু সাইদ (৪৭), আশীক সাইফ (৩৬) ও মো. ফারুক।

এসময় তাদের সঙ্গে আনা লাগেজ থেকে ৪২ হাজার ২০০ পিস ‘খ’ শ্রেণির মাদক ট্যাপেনটাডোল নামে নিষিদ্ধ ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় অধিদপ্তরের মেট্রো উত্তর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মজিবুর রহমান পাটওয়ারী।

তিনি বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল একটি চক্র পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে ফেনসিডিল ও ট্যাপেনটাডোলের বড় চালান এনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে কাজ শুরু করে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। চক্রের মূলহোতা সোলাইমান প্রতি মাসে ৪ থেকে ৫ বার কলকাতায় যাতায়াত করতো। এরপর বিভিন্ন পণ্যের আড়ালে ট্যাপেনটাডোলসহ অন্যান্য অবৈধ মাদক দেশে নিয়ে আসত। এ কাজে সে তার একাধিক সহযোগীকে ব্যবহার করতো। গত আগস্ট মাসে এ চক্রের একজন সদস্যকে ফেনসিডিলসহ বিমানবন্দরে গ্রেফতার করা হয়।

রোগী সেজে ভারতে গিয়ে মাদক নিয়ে বিমানে দেশে ফিরতেন তারা

মুজিবুর রহমান আরও বলেন, চক্রের সদস্যরা মূলত দেশের সীমান্ত এলাকা থেকে রোগীর চিকিৎসার কথা বলে ভারতে যেতো। এরপর কয়েকদিন অবস্থান শেষে বিপুল পরিমাণ মাদক ও অবৈধ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে বিমানবন্দর দিয়ে দেশে ফিরতো।

বিমানবন্দর থেকে যেভাবে গ্রেফতার:
চক্রের সদস্যরা ভারতে গিয়ে কয়েকদিন অবস্থান করতো। এরপর বিমানে করে দেশে ফিরতো। চক্রের সদস্যরা বিপুল পরিমাণ মাদক নিয়ে আসার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে একটি দল গ্রিন চ্যানেল এলাকায় অবস্থান নেয়। চক্রের সদস্যরা এ্যারাইভাল ইন্ট্রিগেট দিয়ে প্রবেশের সময় সোলাইমান ও সহযোগীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতো।

ইমিগ্রেশন শেষে ল্যাগেজ বেল্ট থেকে তাদের লাগেজ সংগ্রহ করে কাস্টমস চেকিংয়ের কার্যক্রম শেষ করে। সেখান থেকে বের হয়ে গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার সময় চক্রের পাঁচজনকে লাগেজসহ গ্রেফতার করা হয়। পরে সবার ব্যাগ তল্লাশি চালিয়ে ৪২ হাজার ২০০ পিস নিষিদ্ধ ট্যাপেনটাডোল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

টিটি/এমকেআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।