শব্দদূষণ রোধ না করলে মানুষের শ্রবণের সমস্যা বাড়বে: উপমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৫২ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে প্রায় শতভাগ মানুষের শ্রবণে সমস্যা হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।

তিনি বলেছেন, ড্রাইভাররা অপ্রয়োজনে অতিরিক্ত শব্দ সৃষ্টির মাধ্যমে নিজেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, অন্যদেরও ক্ষতিগ্রস্ত করছেন। এখনো সময় আছে। সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। সবাই একযোগে কাজ করতে পারলে আমরা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) শব্দদূষণ রোধকল্পে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সচিবালয়ের সামনের রাস্তায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় আয়োজিত বিশেষ কর্মসূচি চলাকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, শব্দদূষণের কারণে যে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা অনেকে জানেন না। ড্রাইভারদের সচেতন করতে পারলে তারা শব্দ সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকবেন। এক গবেষণায় দেখা গেছে, শব্দদূষণের কারণে দুই শতাংশ কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়, মানুষের স্বাস্থ্যহানি ঘটে, প্রতিবন্ধী সন্তানের জন্ম হয়, নবজাতকদের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হওয়াসহ অনেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। নিজেদের টিকে থাকার জন্য, পরিবেশের মান উন্নয়নের জন্য শব্দদূষণ রোধ করতেই হবে।

আরও পড়ুন: পর্যাপ্ত মনিটরিংয়ের অভাবে বাড়ছে পরিবেশ দূষণ 

কর্মসূচি চলাকালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানূর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদসহ মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্ল্যাকার্ড নিয়ে সচিবালয়ের গেটে অবস্থান গ্রহণ করেন। এসময় তারা ড্রাইভারদের অপ্রয়োজনীয় শব্দ সৃষ্টি না করতে অনুরোধ করেন এবং বিভিন্ন গাড়িতে শব্দদূষণ রোধে সচেতনতামূলক স্টিকার বিতরণ করেন।

আইএইচআর/এমএইচআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।