৩১ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে সেভ দ্য চিলড্রেনের খাদ্য ও পুষ্টি কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৩৭ এএম, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ ২০১৫ সালের আগস্ট মাস থেকে ‘সূচনা- বাংলাদেশে অপুষ্টি চক্রের অবসান’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশে সেভ দ্য চিলড্রেনের নেতৃত্বে সাড়ে সাত বছর ধরে কর্মসূচি বাস্তবায়নের পর অন্যতম বৃহত্তম এই খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা প্রকল্প শেষ হচ্ছে আগামী ৩১ ডিসেম্বর।

প্রকল্পের এক সমাপনী অনুষ্ঠান হয় সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ডা. নাহিদ রশিদ।

তিনি বলেন, শিশুর ভবিষ্যত ও নারীর ক্ষমতায়নে বিনিয়োগ করলে আজীবন তার সুফল পাওয়া যায়। আগে জাতীয় মৎস্য নীতিতে ‘পুষ্টি’ বিষয়ে কোনো উল্লেখ ছিল না। কিন্তু সূচনাকে ধন্যবাদ আমরা এখন নীতি সংশোধনে পুষ্টি অন্তর্ভুক্ত করেছি। খর্বকায়তার অনেকগুলো কারণ মোকাবেলা করতে সূচনা কাজ করেছে। পরিবারের খাদ্য নিরাপত্তা উন্নত করতে আমাদের আরও সহযোগিতার প্রয়োজন এবং এর জন্য বহু বিভাগের সহযোগিতা প্রয়োজন। সরকার দারিদ্র্য বিমোচন এবং স্বাস্থ্য খাতে পরিবর্তন আনতে আগ্রহী। যে কারণে সরকার, এনজিও ও বেসরকারি খাতের মধ্যে সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সূচনা প্রকল্পটি ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত। এই প্রকল্প ২ লাখ ৩৫ হাজার ৫৭৯টি পরিবারকে টার্গেট করে। যার মাধ্যমে সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার ২০টি উপজেলা এবং ১৫৭টি ইউনিয়নে বসবাসকারী ১৪ লাখ প্রকল্প অংশগ্রহণকারীর কাছে পৌঁছায়।

সূচনার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলায় দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে খর্বকায়তার হার উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস করা এবং পুষ্টিহীনতা মোকাবিলায় সরকার এবং অন্য অংশীদারদের মধ্যে সমন্বিত, বহু-খাত ভিত্তিক পদ্ধতির প্রয়োগ করা। প্রকল্পের ছয় বছরের মধ্যে দরিদ্র এবং অতি দরিদ্র পরিবারের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা বাড়াতে সরকার, এনজিও এবং বেসরকারি খাতের সঙ্গে অংশীদারত্বে সমন্বিত পুষ্টি-নির্দিষ্ট এবং পুষ্টি-সংবেদনশীল কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে এটি অর্জন করা হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে সূচনা প্রকল্পের প্রধান প্রধান অর্জন সম্পর্কে চিফ অব পার্টি- সূচনা ড. শাহেদ রহমান বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অংশীদারত্বে কাজ করে সূচনা প্রকল্প সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের নেতৃত্বে বিভিন্ন বিশেষায়িত এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রদানকারী সাতটি কনসোর্টিয়াম সদস্য নিয়ে গঠিত। সেগুলো হলো- হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল (এইচকেআই), ওয়ার্ল্ডফিশ (ডব্লিউএফ), ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এন্টারপ্রাইজ (আইডিই), ফ্রেন্ডস ইন ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশম (এফআইভিডিবি), সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস), রংপুর দিনাজপুর রুরাল সার্ভিসেস (আরডিআরএস) এবং প্রকল্পের গবেষণা অংশীদার আইসিডিডিআর,বি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন গ্রিন ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্টের টিম লিডার এডউইন কোয়েক। তিনি বলেন, পুষ্টি একটি বহুমুখী সমস্যা, যার জন্য বহু অংশীদারের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন। খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অপুষ্টি কমাতে বহু অংশীদারের প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সূচনা নারী ও মেয়েদের তাদের পরিবার ও সম্প্রদায়ে পুষ্টিচক্র উন্নত করতে ক্ষমতায়ন করেছে। খর্বকায়তা কমাতে একাধিক সেক্টরের সমন্বিত প্রচেষ্টা একত্রে কাজ করছে এখানে। সূচনা কার্যকর অংশীদারত্বের একটি আদর্শ মডেল হয়ে থাকবে।

আইএইচআর/কেএসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।