অবরোধ ডেকে পালিয়ে থাকা রাজনৈতিক কর্মসূচি হতে পারে না: হারুন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:২২ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো ৯ দফায় ১৮ দিন অবরোধ আর তিনদিন হরতাল ডেকেছে। পরিত্যক্ত গাড়িগুলোতে আগুন দিচ্ছে। কিন্তু অবরোধ ডেকে রাস্তায় না নেমে পালিয়ে থেকে ভাড়া করা লোকজন দিয়ে গাড়িতে আগুন ও ককটেল নিক্ষেপ করা রাজনৈতিক কর্মসূচি হতে পারে না।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ডিবিপ্রধান বলেন, আমরা আগেও দেখেছি ২০১৪ সালে একইভাবে তারা রাস্তার মধ্যে বোমা নিক্ষেপ করেছে। পুলিশের ওপর হামলা করার চেষ্টা করেছে। জনগণ তাদের এমন কর্মসূচিতে সাড়া দেয়নি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের দিকনির্দেশনা মোতাবেক কাজ করছি।

তিনি বলেন, পাশাপাশি আমাদের রুটিনমাফিক কাজও করছি। যারা প্রতারণা করছে, ডাকাতি করছে, ওয়ারেন্টভুক্ত ও তালিকাভুক্ত আসামি তাদের গ্রেফতার আমাদের রুটিনওয়ার্ক। জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্ব পুলিশের। পুলিশ বাহিনী, ডিবি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাস্তায় থেকে রাতদিন ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে। উদ্দেশ্য একটাই, স্বাভাবিক যান চলাচলের কেউ যেন বাধা সৃষ্টি না করে।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যারা ৯ দফায় ১৮ দিন অবরোধ আর তিনদিন হরতাল ডেকেছে, তাদের এসব কর্মসূচি সাধারণ মানুষ মানছে না। মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে আসছে। অবরোধ ডেকে ঘরে বসে ভাড়া করে লোক এনে বিচ্ছিন্নভাবে আগুন লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে। দিনশেষে মানুষের মধ্যে এর কোনো প্রভাব পড়ছে না বলেই মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় চলাচল করছে।

হারুন অর রশীদ আরও বলেন, আনুপাতিক হারে বাংলাদেশ একটি ঘনবসতি দেশ। ১৮ কোটির কাছাকাছি মানুষ। সে তুলনায় যদিও আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংখ্যা আনুপাতিক হারে অনেক কম, তারপরও প্রত্যেক পুলিশ সদস্য রাতদিন পরিশ্রম করছে।

তিনি বলেন, যারা আগুন দিয়েছে তাদের অনেককে গ্রেফতার করেছি। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিন দিয়েছে। অনেকের নামও আমরা পেয়েছি। তাদেরও শিগগির গ্রেফতার করবো।

টিটি/এমকেআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।