যৌন হয়রানি প্রতিরোধে আইন প্রণয়নের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৩৭ পিএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩

কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে জেন্ডার প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ। এসময় যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠন সংক্রান্ত হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন এবং আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনুসমর্থনের দাবি জানায় সংগঠনটি।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) পরিচালক নাজমা ইয়াসমীন। এসময় সংবাদ সম্মেলনে জেন্ডার প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, স্বাধীনতা-পরবর্তী পাঁচ দশকে বাংলাদেশের নারীদের জীবনমানে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রসহ সর্বক্ষেত্রেই নারীদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। গত কয়েক দশকে নারীরা ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করলেও দেশে এখনো নারী নির্যাতন, যৌন নিপীড়ন, শ্লীলতাহানি, ইভটিজিং এবং ধর্ষণ-গণধর্ষণসহ নারীদের প্রতি সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ডে ইতিবাচক কোনো পরিবর্তন আসেনি। বরং নারীর প্রতি সহিংসতা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। গণপরিবহণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল, এমনকি অনেক নারী নিজের পরিবারেও সহিংসতার শিকার হচ্ছেন।

নারী শ্রমিকদের সুরক্ষায় সংবাদ সম্মেলনে কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো, যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ২০০৯ সালের হাইকোর্টের নির্দেশনার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে তদারকি কমিটি করা, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতনের বিচার নিষ্পত্তি করা, বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫ এর সংশোধনীতে (১ সেপ্টেম্বর ২০২২ প্রকাশিত গেজেট) উল্লিখিত নারীর প্রতি আচরণ সংক্রান্ত নতুন বিধি ৩৬১ এর ক এবং এই বিধির ৩৬১ এর ক (২)' ধারা বাস্তবায়ন করা।

জানা যায়, কর্মস্থল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সকল ধরনের সহিংসতা ও যৌন নির্যাতন প্রতিরোধের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মানবাধিকার ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর জোট 'জেন্ডার প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ' গঠিত হয়। বর্তমানে এই জোটের সদস্য ১৩ টি সংগঠন।

আরএএস/এসআইটি/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।