তীব্র গরমে কদর বেড়েছে আখের রস ও শরবতের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:০২ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০২৪

সারাদেশে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। ব্যতিক্রম নয় রাজধানী ঢাকাও। বাতাসের সঙ্গে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় ভ্যাপসা গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। প্রখর রোদে ঘাম ঝরিয়ে পথ চলতে হচ্ছে শ্রমজীবী ও পথচারীদের। তৃষ্ণার্ত হয়ে পান করছেন শরবত। রাজধানীর প্রধান সড়কের পাশ থেকে শুরু করে অলিগলিতে লেবু-আখের শরবতের অস্থায়ী দোকানের সংখ্যা বেড়েছে। সেখান থেকে তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন পথচারীরা। ১০ থেকে ২০ টাকার মধ্যে পাওয়ায় এসব শরবতের চাহিদা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন দোকানিরা।

রোববার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর গুলিস্তান, পল্টন, জিরোপয়েন্ট, মৌচাক ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

রাজধানীর সচিবালয়ের পাশে সকাল ৯টা থেকেই আখের শরবতের দোকান নিয়ে বসেছেন সাদ্দাম হোসেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঈদের পর থেকে বেচাকেনা বেড়েছে। দৈনিক চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকার শরবত বিক্রি করি। বৃষ্টি শুরু হলে আবার কমে যাবে। তখন মানুষ আর ঠান্ডা খেতে চায় না। এখন যে তীব্র গরম অনেকেই একই সঙ্গে দুই গ্লাস করে শরবত খাচ্ছেন। রিকশাচালক ও ভ্যান চালকদের চাহিদা বেশি।

তীব্র গরমে কদর বেড়েছে আখের রস ও শরবতের

আরও পড়ুন

একই সুরে কথা বলেছেন পল্টন মোড়ের শরবত বিক্রেতা রুবেল। তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যবসা গ্রীষ্মের এ কয়দিন। বড় বড় জুসের দোকানে দাম বেশি তাই সাধারণ মানুষ সেখানে যেতে পারে না। এখানে ১০ টাকা দিয়েই তৃষ্ণা মেটাতে পারে সবাই। সাধারণত এক গ্লাস ১০টাকা বিক্রি করি। সঙ্গে ট্যাংক দিয়ে ১৫ টাকা। দিনে সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত প্রায় ৫০০ গ্লাস শরবত বিক্রি করি।

তীব্র গরমে কদর বেড়েছে আখের রস ও শরবতের

আজিজ নামে এক পথচারী জাগো নিউজকে বলেন, ‘মার্কেটিংয়ের কাজ করি, বেশিরভাগ বাইরে থাকা লাগে।একটু হাঁটলেই হাঁপিয়ে যাই। ভ্যাপসা গরমে ক্লান্ত হয়ে যাই। প্রায় দিনই শরবত খাওয়া লাগে।

এদিকে, শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল যশোরে। চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি ও পাবনার ঈশ্বরদীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আরএএস/এমএএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।