মেধাদীপ্ত জয়রথেই সমৃদ্ধির আধুনিক বাংলাদেশ

সম্পাদকীয় ডেস্ক
সম্পাদকীয় ডেস্ক সম্পাদকীয় ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫৭ এএম, ২৭ জুলাই ২০২০

শামীমা আক্তার তন্দ্রা

যার জন্ম না হলে আমরা হয়তো কখনও স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতাম না, তিনি বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটে সপরিবারে নিহত না হলে তিনি দেশকে সমৃদ্ধির শিখরে পৌঁছে দিতেন এটা নিশ্চিত। তার অবর্তমানে তারই যোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যথেষ্ট সংকট মোকাবিলা করে আমাদের সেই প্রত্যাশা পূরণে সর্বদা নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। যা বাঙালি জাতির জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।

তার ধারাবাহিকতার হাত ধরে তরুণ প্রজন্মের চেতনার নায়ক হয়ে উঠেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। যিনি বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা এবং তরুণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।

ভারতের বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আইসিটি বিষয়ে শিক্ষালাভ করেছেন। তিনি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর বিএসসি ও পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ওপর বিশেষ ডিগ্রি লাভ করেছেন।

১৯৭৫ সালে তার নানা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হওয়ার পর জয় মায়ের সাথে জার্মানি, লন্ডন হয়ে শেষে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করেন। তার শৈশব ও কৈশোরের দীর্ঘ সময় কেটেছে ভারতে।

সজীব ওয়াজেদ জয় ২০১৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ জন্য তিনি কোনো প্রকার বেতন ভাতাদি নিচ্ছেন না। চাইলেই তিনি দলের বড় পদে বসতে পারতেন। কিন্তু তৃণমূল থেকে জনমানুষের নেতা হিসেবে তিনি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ লাভ করেন ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি। তিনি শুধু প্রধানমন্ত্রীর পুত্রই নন, তিনি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার বাবা ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন একজন খ্যাতনামা পরমাণু বিজ্ঞানী।

জয় যখন পৃথিবীর আলোয় প্রবেশ করেন তখন তার জন্মভূমি মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তে রঞ্জিত। বাংলার আকাশ থেকে কালোছায়া যখন সরে গিয়ে নতুন সূর্যোদয় ঘটছে ঠিক তখনই জয়ের জন্ম। বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম জয়ের হাত ধরে আরেকটি নতুন বাংলাদেশ দেখার অপেক্ষায়। আজ ২৭ জুলাই তারুণ্যদীপ্ত, মেধাবী প্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন। ১৯৭১ সালে তার জন্মের চার মাস পরই বঙ্গবন্ধুর বাংলা থেকে পাকিস্তানি শত্রুরা পরাজিত হয়ে বিতাড়িত হয়।

বাংলাদেশ এখন এক নতুন সংকটের মধ্যে দিয়ে চলছে,যার নাম করোনা। তবে হ্যাঁ করোনাভাইরাস অদেখা শত্রু বটে, কিন্তু এই ক্ষুদ্র অদেখা শত্রু আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে সাহেদ, সাবরিনাসহ আরও অনেক বড় শত্রুকে চিনিয়ে দিচ্ছে।

জয়ের কাছে তরুণ প্রজন্মের প্রত্যাশা তার নানা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন এই বাংলার নিরীহ জনগোষ্ঠীর জন্য জীবন-যৌবন উৎসর্গ করেছিলেন ঠিক তেমনি তিনি তরুণ প্রজন্মের হাল ধরবেন।

সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার। তার প্রচেষ্টায় দেশে বেশ কয়েকটি তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক আন্তর্জাতিক মেলা-সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম জয়ের জন্য গর্বিত। তারা চায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও যেন আরও বেশি করে ডিজিটালাইজেশনের সুফল ভোগ করে।

জয়ের জয়রথেই যেন বাংলাদেশ পৃথিবীর মানচিত্রে একটি আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে এগিয়ে যায়। জীবনের প্রতিটি জন্মদিনে যেন তার প্রত্যাশা থাকে এই বাংলার মানুষের কল্যাণ। শুভ জন্মদিন সজীব ওয়াজেদ জয়।

লেখক : শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

এইচআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।