কিশোরদের জলকেলিতে ফিরে এলো হারানো দুপুর
প্রচণ্ড গরমে যেন দমবন্ধ হয়ে আসছে প্রকৃতির। বাতাসে যেন আগুনের হলকা বইছে। রোদের ঝলসে যাওয়া দিনে শহর আর গ্রামের রাস্তাঘাট হয়ে উঠেছে ফাঁকা। তবে এই খরতাপে একদল দুরন্ত কিশোরের প্রাণের উচ্ছ্বাস যেন অন্য এক চিত্র এঁকে দেয়। কাছের পুকুরে তাদের দৌড়ঝাঁপ আর জলকেলিতে জেগে ওঠে জীবনের মিষ্টি স্পন্দন। ছবি: মাহবুব আলম
-
পুকুরের ঠান্ডা পানি আজ তাদের কাছে স্বর্গ।
-
একটু দূর থেকে ছুটে এসে হুড়মুড়িয়ে একের পর এক ঝাঁপ।
-
কখনো ডুব, কখনো সাঁতার, কখনো একে অপরের দিকে পানি ছুড়ে দেওয়া; সব মিলিয়ে পুকুরঘাট যেন রঙিন খুশির মেলা।
-
এই দৃশ্যের সাক্ষী হতে হতে মন যেন হঠাৎ উড়ে যায় পুরনো কোনো দুপুরে। যখন স্কুল ছুটির পর বই-খাতা ছুড়ে ফেলে পুকুরের পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়তাম। তখন ছিল না মোবাইল ফোন, ছিল না সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি; ছিল শুধু প্রকৃতি আর প্রাণভরা দুরন্তপনা।
-
কিশোরদের এই প্রাণচঞ্চল দৃশ্য যেন সময়ের এক জানালা খুলে দেয়। মনে করিয়ে দেয় হারিয়ে যাওয়া দিনগুলোর গল্প। মনে করিয়ে দেয়, খাঁটি আনন্দের জন্য খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন হয় না; একটা পুকুর আর খোলা মনই যথেষ্ট।
-
এই দাবদাহে যখন সবাই এসিতে বন্দি, তখন এই কিশোরদের নির্মল আনন্দ যেন প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যাওয়া এক উদযাপন। তারা শিখিয়ে দেয়, প্রকৃতির মাঝে মিশেই পাওয়া যায় প্রাণের সেরা প্রশান্তি।
-
গ্রীষ্মের দুপুরে পুকুরের পানিতে হারিয়ে যাওয়া সেই নির্ভেজাল হাসি, হয়তো আমরা বড় হয়ে ভুলে গেছি। কিন্তু আজও কোনো পুকুরঘাটের উল্লাসে সেই শৈশব ডাক দিয়ে বলে, ‘চলো, আবার একদিন ঝাঁপ দিই!’