বিবাহিত বনাম অবিবাহিত, হাডুডুর লড়াইয়ে মাতলো শরীয়তপুর
যেন উৎসব নয়, রীতিমতো যুদ্ধের ময়দান! মাঠজুড়ে টানটান উত্তেজনা, চারপাশে দর্শকের করতালি আর উল্লাস। বিবাহিত ও অবিবাহিত দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে হাডুডুর মাঠ হয়ে উঠেছিল প্রাণের খেলা। হারানো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে শরীয়তপুরের সুবেদার কান্দিতে আয়োজন করা হয় এ ব্যতিক্রমধর্মী ম্যাচ। জাতীয় খেলার প্রতি ভালোবাসা, গ্রামের প্রাণ, আর প্রজন্মের যোগসূত্র-সবকিছুর মিশেলে এ লড়াই হয়ে উঠেছিল স্মরণীয়। খেলোয়াড়দের ঘাম আর দর্শকদের কণ্ঠ মিলে যেন জানান দিচ্ছিল, মাটির গন্ধ মেখে আবারও জেগে উঠেছে গ্রামবাংলার হাডুডু। লেখা: জান্নাত শ্রাবণী; ছবি: বিধান মজুমদার অনি
-
চারপাশে উৎসবের আমেজ। কেউ গাছে চড়ে, কেউ বাড়ির ছাদে উঠে, আবার কেউ মাঠ ঘিরে দাঁড়িয়ে অপলক দৃষ্টিতে দেখছেন খেলা।
-
কখনো করতালির শব্দে মেতে উঠেছে সবাই, আবার কখনো উল্লাসে মুখর হয়ে উঠছে প্রান্তরের মাটি।
-
ঈদের আমেজ শেষে এক ভিন্নধর্মী আনন্দে মেতে উঠেছিল শরীয়তপুরের মানুষ। ১৪ জুন বিকেলে সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের সুবেদার কান্দি এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় এই অনন্য আয়োজন।
-
স্থানীয় সামাজিক সংগঠন আতাউর রহমান খান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের আয়োজনে জমজমাট এই খেলায় অংশ নেয় স্থানীয় বিবাহিত ও অবিবাহিত দল, যার প্রতিটিতেই ছিল ৮ জন করে খেলোয়াড়।
-
সন্ধ্যা নামার আগেই এক উত্তেজনাপূর্ণ লড়াই শেষে অবিবাহিত দল ২-১ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেয়।
-
খেলাটি দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন শত শত মানুষ। ছোট-বড়, নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ-শিশু সবাই যেন ফিরে গিয়েছিল এক স্মৃতিময় শৈশবে।
-
এই আয়োজন যেন কেবল একটি খেলার গল্প নয়, বরং হারানো শিকড় ছুঁয়ে ফেরার আনন্দ। যখন মাঠে একেকটি দমবন্ধ করে দেওয়া মুহূর্ত তৈরি হচ্ছিল, তখন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দর্শকদের চোখে ছিল উচ্ছ্বাস আর হৃদয়ে ছিল গর্ব। শরীয়তপুর যেন প্রমাণ করলো-যেখানে ভালোবাসা ও ঐতিহ্য মিলে যায়, সেখানে হারানো কিছু আবারও ফিরে আসে প্রাণের স্পন্দনে।