‘কাটিং টু ফিটিং কইরা দিমু’, ডিপজলের সংলাপে কাঁপতো ঢালিউড
ঢালিউড সিনেমার ইতিহাসে এমন কিছু চরিত্র আছে, যারা পর্দায় উপস্থিত হলেই দর্শক চুপচাপ বসে থাকতে পারেন না। সংলাপে থাকে ঝাঁজ, চোখেমুখে আগুন আর স্টাইলে থাকে এক ধরনের নিজস্বতা। ঠিক এমনই একজন হলেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। যিনি একাধারে অভিনেতা, প্রযোজক, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ। তবে দর্শকদের কাছে তিনি সবচেয়ে বেশি পরিচিত তার সংলাপ আর ভয়ংকর অথচ বিনোদনমূলক খলচরিত্রের জন্য। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া থেকে
-
১৯৫৮ সালের এই দিনে ঢাকার কেরানীগঞ্জে জন্ম তার। বেড়ে ওঠা, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং চলচ্চিত্র-সবখানেই তার ছিল দৃপ্ত উপস্থিতি। প্রথম জীবনে ব্যবসায় মন দিলেও সিনেমার প্রতি তার ভালোবাসা তাকে নিয়ে আসে ঢালিউডে। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি।
-
৯০-এর দশকের শেষ ভাগ থেকে ২০০০-এর দশকে ঢালিউডে যে কয়জন খলনায়ক রাজত্ব করেছেন, ডিপজল তাদের অন্যতম। তবে তার খলনায়ক সত্তা কখনো শুধুই ভয় দেখানো ছিল না, ছিল হাস্যরস, নাটকীয়তা এবং অদ্ভুত সংলাপভঙ্গির এক অনন্য মিশ্রণ।
-
ডিপজলের সংলাপ মানেই হলে দর্শকদের হাততালি। তার ‘কাটিং টু ফিটিং কইরা দিমু’ শুধু একটা হুমকি নয়, ছিল একধরনের বিনোদন। যেভাবে তিনি সংলাপটি উচ্চারণ করতেন, তাতে ভয় নয়-মনে হতো, পর্দার এক চরম মজার শাসক দাঁড়িয়ে আছেন।
-
ডিপজল সাধারণত খলনায়কের চরিত্রেই বেশি অভিনয় করেছেন, তবে পরবর্তী সময়ে ‘নায়ক’ হিসেবেও তাকে দেখা গেছে কিছু ছবিতে। যেমন-‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’, ‘চাচ্চু’, ‘কোটি টাকার কাবিন’ এসব ছবিতে তিনি ছিলেন গল্পের কেন্দ্রবিন্দু।
-
তার অভিনয়ে ছিল এক ধরনের নিজস্বতা। কখনো বেশি সংলাপ, কখনো শুধু চোখের চাহনি, আবার কখনো অদ্ভুত হাসি দিয়েই দর্শককে মুগ্ধ করতেন তিনি।
-
ডিপজল শুধু অভিনেতা নন, বরং একজন সফল প্রযোজকও। তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে মুক্তি পাওয়া অনেক ছবিই ছিল সুপারহিট।
-
একসময় তিনি দীর্ঘ অসুস্থতার মধ্য দিয়ে গেছেন, কিন্তু ফিরে এসেছেন নতুন উদ্যমে। তার চলচ্চিত্রে ফেরা মানেই নতুন আলোচনার জন্ম।
-
ঢালিউডে যারা বেড়ে উঠেছে ৯০ বা ২০০০ দশকে, ডিপজল তাদের কাছে শুধুই একজন খলনায়ক ছিলেন না। বরং তিনি ছিলেন এক ধরনের বিনোদনের প্রতীক। তার সংলাপ ছিল পাঞ্চলাইনের মতো, আর স্টাইল ছিল ভাইরাল হওয়ার উপযুক্ত উপকরণ।