মিস্টার ইন্ডিয়া থেকে আন্তর্জাতিক মঞ্চ, অনিল কাপুরের সাফল্যের গল্প
বলিউডের ইতিহাসে এমন কিছু তারকা আছেন, যাদের ক্যারিয়ার সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে অসাধারণ ধারাবাহিকতা, অভিনয়ের গভীরতা এবং নিজেকে বারবার নতুনভাবে আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে। তাদের মধ্যে অন্যতম অনিল কাপুর। বলিউডের ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ বলে পরিচিত এই চিরতরুণ অভিনেতার জন্মদিন আজ। ১৯৫৬ সালের এই দিনে মুম্বাইয়ের চেম্বুরে তার জন্ম। চার দশকের ক্যারিয়ারে তিনি শুধু বলিউড নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করেছেন। বিশেষ এই দিনে ফিরে দেখা যাক অনিল কাপুরের অসাধারণ সাফল্যের গল্প। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া থেকে
-
অনিল কাপুরের অভিনয়যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৯ সালে একটি ছোট চরিত্র দিয়ে। এরপর ১৯৮৩ সালে ‘ওহ সাত দিন’ ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান, যা তার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। প্রথম দিকের সংগ্রাম, পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাসই তাকে আজকের ‘বহুমাত্রিক অনিল কাপুর’ এ তৈরি করেছে।
-
তার প্রকৃত সাফল্য আসে আশির দশকের শেষ দিকে। ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ (১৯৮৭) সিনেমা তাকে এনে দিয়েছে অসমাপ্ত খ্যাতি। অদৃশ্য হওয়ার সেই ক্ল্যাসিক চরিত্র আজও ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে অন্যতম জনপ্রিয় সুপারহিরো রয়ে গেছে।
-
১৯৮০ ও ৯০-এর দশকজুড়ে অসংখ্য সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করেছেন অনিল কাপুর। তার উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হচ্ছে- ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ (১৯৮৭), ‘তেজাব’ (১৯৮৮), ‘রাম লখন’ (১৯৮৯), ‘বেটা’ (১৯৯২), ‘লজ্জা’ (২০০১), ‘নায়ক’ (২০০১), ‘ভিরাসাত’ (১৯৯৭)।
-
গভীর অভিনয়, স্টাইল, নাচ এবং সংলাপ সব মিলিয়ে তিনি ছিলেন বলিউডের এক ‘কমপ্লিট প্যাকেজ’। দর্শকের কাছে তিনি রোমান্টিক নায়ক যেমন, তেমনি অ্যাকশন বা সিরিয়াস চরিত্রেও সমান দক্ষ।
-
অনিল কাপুর শুধু বলিউডেই সীমাবদ্ধ থাকেননি। তার আন্তর্জাতিক যাত্রার শুরু হয় ব্রিটিশ চলচ্চিত্র ‘স্লামডগ মিলিয়নেয়ার’–এর মাধ্যমে। সিনেমাটি অস্কার জেতার পর তিনি বিশ্বজুড়ে স্বীকৃতি পান।
-
এছাড়া মার্কিন টিভি সিরিজ ‘২৪’–এ অভিনয়, বিজ্ঞান কল্পকাহিনিভিত্তিক হলিউড ছবি ‘মিশন ইম্পসিবল – ঘোস্ট প্রটোকল’–এ অংশগ্রহণ তাকে আন্তর্জাতিক তারকার মর্যাদা এনে দেয়।
-
বলিউড থেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এত সফলভাবে অবস্থান তৈরি করা অভিনেতা খুব বেশি নেই, অনিল কাপুর সেই ব্যতিক্রমী তালিকার উজ্জ্বল এক নাম।
-
‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ থেকে শুরু করে হলিউডের লাল গালিচা, অনিল কাপুরের সাফল্যের গল্প সত্যিই অনুপ্রেরণামূলক। তিনি প্রমাণ করেছেন যে প্রতিভা, পরিশ্রম এবং নিজেকে বদলে নেওয়ার ক্ষমতা থাকলে সাফল্যের পথ কখনো থেমে থাকে না।