বলিউডের রোমান্টিক কিংবদন্তি রাজেশ খান্না
ভারতীয় চলচ্চিত্রের এক অমর নায়ক রাজেশ খান্নার জন্মদিন আজ। যিনি শুধু ক্যামেরার সামনে নয়, দর্শকের হৃদয়েও এক অনন্য জায়গা করে নিয়েছেন। যার অভিনয় এক সময় রোমান্সের সংজ্ঞাই বদলে দিয়েছিল। জন্মদিনে ফিরে দেখা যাক তার জীবনের সেই অম্লান অধ্যায়গুলো। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া থেকে
-
রাজেশ খান্না জন্মেছিলেন মধ্যবিত্ত পরিবারে। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ ছিল। তবে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখার আগে তিনি অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন। ১৯৫০-এর দশকে মুম্বাইতে এসে শুরু করেন স্বপ্নপূরণের পথচলা, যা সহজ ছিল না।
-
১৯৬০-এর দশকে প্রথম নজর কাড়েন ‘আনা’ ছবির মাধ্যমে। কিন্তু সত্যিকারের খ্যাতি আসে ১৯৬৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘রুমা’ বা ‘যুগম’ থেকে, যা দর্শক হৃদয়ে সরাসরি প্রভাব ফেলে। তার অভিনয়ের শক্তি ছিল অনুভূতির গভীরতা এবং চেহারার নীরব ভাষা।
-
রাজেশ খান্নাকে বলা হয় ‘হৃদয়জয়ী নায়ক’। প্রেমের আবেগ, সংযত হাসি, চোখে অজানা অনুভূতির প্রকাশ এই সবই দর্শককে মুগ্ধ করতো। ‘আর্থার’, ‘অন্ধালো’ বা ‘বন্দি’ যে কোনো ছবিতেই তিনি রোমান্সকে নতুন মাত্রা দিয়েছিলেন। শুধু নায়ক নয়, চরিত্রের সঙ্গে দর্শককে মেলাতে পারার ক্ষমতা তাকে অনন্য করে তোলে।
-
রাজেশ খান্নার ব্যক্তিগত জীবনও তার চলচ্চিত্র জীবনকে সমৃদ্ধ করেছে। চুপচাপ, সংযত আর এক রকমের শালীনতা এই সব বৈশিষ্ট্য তাকে শুধু একজন অভিনেতা নয়, এক আদর্শ ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে। হিন্দি চলচ্চিত্রে এমন নায়ক বিরল, যিনি প্রেমের আবেগকে এত সাবলীলভাবে প্রকাশ করতে পারেন।
-
চলচ্চিত্রকে তিনি শুধুমাত্র বিনোদনের মাধ্যম মনে করতেন না। প্রতিটি চরিত্রের মধ্যে তিনি এমন গভীরতা খুঁজতেন যা দর্শকের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলে। তাই রাজেশ খান্নার নাম আজও মনে পড়ে এক শিল্পী, যিনি প্রেম, আবেগ ও আবিষ্কারের সংমিশ্রণে ভারতীয় সিনেমার স্বর্ণযুগের প্রতীক হয়ে আছেন।
-
আজ শুধু তার জন্মদিন নয়, বরং ভারতীয় সিনেমার এক অধ্যায়কে স্মরণ করার দিন। রাজেশ খান্না দেখিয়েছেন অভিনয় মানে কেবল মুখের হাসি নয়, অনুভূতির গভীরতাকে পর্দায় জীবন্ত করে তোলা।