ছবিতে বিশ্বের আকর্ষণীয় ১০ নারী
সৌন্দর্য, ব্যক্তিত্ব, আত্মবিশ্বাস ও আকর্ষণ এই চার গুণের সমন্বয়ে আজকের বিশ্বমঞ্চে কিছু নারীর নাম সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয়। তারা দখল করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, রেড কার্পেট, গ্লোবাল ফ্যাশন জগত আর কোটি মানুষের কল্পনার মঞ্চ। কেউ অভিনেত্রী, কেউ মডেল, কেউ আবার সঙ্গীতের তারকা; তবে সবার মিল একটাই উপস্থিত হলেই তারা আলো ছড়ান। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া থেকে
-
দীপিকা পাড়ুকোন: ভারতের গণ্ডি ছাড়িয়ে দীপিকা এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত মুখ। মা হওয়ার পর ফিরেই কাজের প্রতি তার মনোযোগ, দৃঢ়তা ও আত্মবিশ্বাস তাকে করেছে আরও আলোচিত। যেকোনো অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতি মানেই পরিমিত আভিজাত্য ও শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব। বিশ্বব্যাপী ভক্তরা তাকে দেখেন আধুনিক যুগের এক পরিশীলিত সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে।
-
দিশা পাটানি: ভারতের তরুণদের কাছে সৌন্দর্য, ফিটনেস ও স্টাইলের অনুপ্রেরণা দিশা। সহজ–সরল লুক, উজ্জ্বল উপস্থিতি আর আত্মবিশ্বাসী দেহভঙ্গি তাকে করেছে ইন্টারনেটের জনপ্রিয় মুখ। তার প্রতিটি লুকই দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।
-
মার্গট রবি: ২০২৩ সালের ‘বার্বি’ ছবির পর মার্গটের জনপ্রিয়তা যেন আকাশছোঁয়া। তার মায়াবী নীল চোখ, উজ্জ্বল হাসি এবং স্টাইলিশ ক্যারিশমা তাকে করেছে স্বতন্ত্র। নান্দনিকতা আর অভিনয় দুটোতেই তিনি এখন গ্লোবাল আইকন।
-
গিগি হাদিদ: ফ্যাশন দুনিয়ার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র গিগি। রানওয়ে, বিজ্ঞাপন কিংবা সাধারণ দিনের ক্যাজুয়াল লুক প্রতিটি উপস্থিতিতেই তিনি অনন্য। মা হয়েও ফ্যাশন ও নিজের জীবনযাপনকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তা অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা।
-
জেন্ডায়া: শক্তি, সৌন্দর্য আর আধুনিকতার এক অনন্য মিশ্রণ জেন্ডায়া। লালগালিচা থেকে শুরু করে সাধারণ দিনের পোশাক প্রতিটি লুকেই তিনি আত্মবিশ্বাসকে তুলে ধরেন আলাদা শিল্পে। স্পাইডারম্যান সিরিজের পর তার খ্যাতি বহু গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অভিনয়, স্টাইল, ব্যক্তিত্ব সব মিলিয়ে তিনি আজকের প্রজন্মের ফ্যাশন আইকন।
-
আনা দে আরমাস: ‘নাইভস আউট’ এবং ‘ব্লন্ড’ এই দুই চরিত্রের মাধ্যমে আনা আন্তর্জাতিক আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসেন। স্ক্রিনে তার কোমল, স্বাভাবিক সৌন্দর্য এবং ব্যক্তিত্বের নীরব শক্তি তাকে রেখেছে সব সময় খোঁজে। ব্যক্তিগত জীবনের আলোচনা থাকলেও তার জনপ্রিয়তা বরং বেড়েই চলেছে।
-
টেইলর সুইফট: ২১ মাসব্যাপী ‘ইরাস ট্যুর’ শেষ করে তিনি ভেঙেছেন বহু রেকর্ড। নতুন অ্যালবাম এরই মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। শুধু গান নয়, টেইলরের স্টাইল, ফ্যাশনপছন্দ ও প্রতিটি উপস্থিতি হয়ে ওঠে ট্রেন্ড। তার আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিত্বই তাকে করেছে বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী নারী।
-
গ্যাল গ্যাদত: মিস ইসরায়েল খেতাব জয় থেকে শুরু করে সামরিক বাহিনীতে কাজ সবই গ্যাল গ্যাদতের জীবনের অংশ। তবে ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’ চরিত্রই তাকে দিয়েছে বিশ্বখ্যাতি। শক্তিশালী অথচ কোমল উপস্থিতি, হাসি এবং আত্মবিশ্বাস তাকে করেছে লাখো মানুষের প্রিয়। বিতর্ক থাকলেও তার আকর্ষণ কমেনি একটুও।
-
স্কারলেট জোহানসন: ৪০ এ পা রাখলেও স্কারলেট জোহানসন এখনো ক্লাসিক সৌন্দর্যের সংজ্ঞা। গভীর কণ্ঠ, অনন্য মুখাবয়ব এবং অভিনয়শৈলী তাকে করেছে কালজয়ী। রেড কার্পেট থেকে সিনেমার পর্দা প্রতিটি জায়গাতেই তার আলাদা জ্যোতি রয়েছে।
-
এমিলি রাতাজকাওস্কি: মডেল, অভিনেত্রী, লেখিকা এমিলির পরিচয় বহুমাত্রিক। নিজের শরীর, চিন্তা ও ব্যক্তিত্ব নিয়ে তার স্পষ্ট অবস্থান তাকে করেছে সাহসী নারীর প্রতীক। র্যাম্প, সিনেমা বা সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি সব সময়ই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।