ট্রেন্ডের বাইরে সুনেরাহর নিজস্ব স্টাইল স্টেটমেন্ট
ফ্যাশন দুনিয়ায় যখন সবাই ট্রেন্ডের পেছনে ছুটছে, তখন আলাদা হয়ে দাঁড়ানো সহজ নয়। কিন্তু সুনেরাহ তাসনিম সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করেছেন। নিজের স্টাইল বেছে নেওয়ার সাহস, ট্রেন্ডকে অনুসরণ না করে নিজের মতো করে সাজিয়ে তোলার ক্ষমতা-এটাই তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে। ছবি: সুনেরাহ এর ফেসবুক থেকে
-
বাংলাদেশি ফ্যাশন অঙ্গনে অনেকেই হাই-স্ট্রিট ব্র্যান্ড বা গ্লোবাল ট্রেন্ড ফলো করতে ব্যস্ত। কিন্তু সুনেরাহ বিশ্বাস করেন স্টাইল মানে কেবল ফলো করা নয়, বরং একে নিজের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মেলানো।
-
তার সাজগোজে কখনো অপ্রচলিত রঙের মিশ্রণ, কখনো ভিনটেজ গহনার ছোঁয়া।
-
শাড়ি, ক্যাজুয়াল ওয়্যার কিংবা ফিউশন সব জায়গাতেই নিজের স্টাইল স্টেটমেন্ট তৈরি করেছেন তিনি।
-
সুহেরাহ বলেন, ‘ফ্যাশন মানে কপি করা নয়। আমি যা পরি, তাতে যেন আমার নিজের পরিচয় থাকে।’ এই আত্মবিশ্বাসই তাকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছে।
-
সুনেরাহর স্টাইলের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো মিনিমালিজম। অযথা ঝলমলে না হয়ে, সরলতায় গ্ল্যামার খুঁজে পান তিনি।
-
সাধারণ হালকা মেকআপ, নিউট্রাল টোনস, আর স্টেটমেন্ট জুয়েলারি-এই কয়েকটি জিনিস দিয়ে সুনেরাহ তৈরি করেন এমন লুক, যা যে কোনো ইভেন্টে মানানসই।
-
শুধু ট্রেন্ড ভাঙাই নয়, পরিবেশবান্ধব ফ্যাশনের দিকেও সুনেরাহর নজর। তিনি স্থানীয় ডিজাইনারদের তৈরি পোশাক পছন্দ করেন, হ্যান্ডমেড এক্সেসরিজ বেছে নেন। এর মাধ্যমে শুধু অনন্যত্বই নয়, স্থানীয় শিল্পী ও কারুশিল্পীদেরও সমর্থন করেন তিনি।
-
সুনেরাহ মনে করেন, স্টাইলিশ হতে হলে বিলাসী হওয়া জরুরি না। সৃজনশীলতাই সবচেয়ে বড় বিলাসিতা।
-
আজকের দিনে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে সুনেরাহর ফ্যাশন আইডিয়া শুধু দেশের ভেতরে নয়, দেশের বাইরে থাকা তরুণীদের কাছেও অনুপ্রেরণা।
-
তার সোশ্যাল মিডিয়া ফিডে চোখ রাখলেই বোঝা যায় স্টাইল কিভাবে ক্যারিশমার সঙ্গে মিশে যায়।
-
তরুণরা এখন শুধু সেলিব্রিটি নয়, ইনফ্লুয়েন্সারদেরও ফলো করছে। সুনেরাহ তাদের কাছে ট্রেন্ডি হওয়ার মানে বদলে দিয়েছেন।
-
সুনেরাহর যাত্রা দেখিয়ে দেয় স্টাইলের আসল শক্তি নিজের ভেতরে। ফ্যাশনের নাম করে ট্রেন্ডের দাস হওয়া নয়, বরং ট্রেন্ডকে নিজের মতো করে রূপ দেওয়া এটাই আসল ফ্যাশন।