রকেটের রেখায় আঁকা প্রতিশোধ: ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে নতুন পর্ব
রাত যতই গভীর হচ্ছিল, মধ্যপ্রাচ্যের আকাশ ততই ভারী হয়ে উঠছিল আতঙ্কে। হঠাৎ করেই আকাশচেরা আগুনের রেখা যেন বারুদের কালি দিয়ে লিখে দিল প্রতিশোধের ঘোষণা। ইরান থেকে ছোড়া শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র যখন ইসরায়েলের আকাশে ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে এলো, তখন শুধু ইসরায়েল নয়, স্তব্ধ হয়ে গেল গোটা দুনিয়া। এই ছিল না কোনো হঠাৎ উত্তাপ, বরং বহুদিনের জমে থাকা ক্ষোভ, আহত অহংকার আর প্রতিশোধের সংলাপের বিস্ফোরণ। এক রাতে যেন ইরান-ইসরায়েল সম্পর্ক পৌঁছে গেল দ্বন্দ্বের এক নতুন পর্বে, যেখানে কূটনীতি নয়, কথা বলছে রকেটের আগুন। ছবি: ইউএনবি/এপি
-
তেল আবিবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা সদর দপ্তরে ইরানের একটি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হেনেছে, যা ইসরায়েলের আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার এক চাঞ্চল্যকর ব্যর্থতা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
-
ইরান থেকে ছোড়া বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ভেদ করে দেশটির কেন্দ্রস্থলে আঘাত হানে। এতে ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
-
ইরানের ওই হামলার সময় ইসরায়েলের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় এবং অনেকেই হতবাক হয়ে যান।
-
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের পাল্টা হামলাটি আসে ইসরায়েলের বিমান হামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই।
-
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার ফলে সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপের চিত্র অনেকেই গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত দৃশ্যের সঙ্গে তুলনা করছেন।
-
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরায়েলের কয়েকটি শহরে হওয়া হামলায় বেশ কিছু ভবন সম্পূর্ণ ধসে গেছে, ধুলোর কুয়াশায় আচ্ছন্ন পুরো এলাকা, হতভম্ব বাসিন্দারা খালি চোখে তাকিয়ে রয়েছেন ধ্বংসস্তূপের দিকে, অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে।
-
এই দ্বন্দ্বের শেষ কোথায়, কেউ জানে না। তবে এটা নিশ্চিত ইরান ও ইসরায়েলের সম্পর্ক এখন এমন এক বাঁকে এসে দাঁড়িয়েছে, যেখানে প্রতিশোধের পাল্লা ভারসাম্য হারালেই পুরো বিশ্ব হয়তো ডুবে যাবে ধ্বংসের আগুনে।