চরের জমিতে তরমুজ চাষে বিপ্লব
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের চরাঞ্চলে বাণিজ্যিক তরমুজ চাষে বিপ্লব ঘটেছে। এবার প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ছবি: এম মাঈন উদ্দিন
-
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে শত কোটি টাকার তরমুজ বাজারজাত হওয়ার আশা কৃষকদের। ৩ বছরের ব্যবধানে চাষের পরিধি বেড়েছে কয়েক গুণ।
-
মিরসরাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলার ইছাখালী, মঘাদিয়া, মায়ানী ও সাহেরখালী ইউনিয়নে প্রায় ১২০০ একর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে।
-
২০২৪ সালে আবাদ হয়েছিল ৪৭৫ একর জমিতে। ২০২৩ সালে চাষ হয় ১৭৫ একর জমিতে। ২০২২ সালে আবাদ হয় ১৪৫ একর জমিতে। এবার কিছু জমি থেকে ফলন বাজারজাত করা হচ্ছে। তবে পুরোদমে বাজারজাত করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
-
জানা গেছে, ২০২২ সালে প্রথম উপজেলায় বাণিজ্যিক ভাবে ১৪৫ একর জমিতে তরমুজ চাষ শুরু হয়। নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার সিরাজুল ইসলাম ইছাখালীতে প্রথম তরমুজ চাষ করেন।
-
ফলন ভালো হওয়ায় পরের বছর আরও কয়েকজন চাষ করেন। এরপর ৪ ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়ে। এখানে চাষ করা সবাই নোয়াখালীর। এবার প্রায় ১০০ কৃষক চাষ করেছেন। এসব তরমুজ ক্ষেতে কাজ করার জন্য প্রায় ২ হাজার শ্রমিক আছেন।
-
মিরসরাইয়ের মাটি ও আবহাওয়া তরমুজ চাষের উপযোগী। তাই নোয়াখালীর চাষিরা খোঁজ নিয়ে এখানে তরমুজ চাষ করছেন।
-
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ‘ক্রমান্বয়ে চাষের পরিধি বাড়ছে। এবার ১২০০ একর জমিতে আবাদ হয়েছে। তরমুজ চাষে পরিশ্রম বেশি হলেও ৩ গুণ বেশি লাভ হয়।
-
সুবর্ণচর উপজেলার চাষিরা এখানে তরমুজ চাষ করছেন। আবহাওয়া এবং বাজারে দাম ভালো থাকলে ৩৫-৪০ হাজার মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হবে। যার বাজার মূল্য প্রায় শত কোটি টাকা।