মাঠেই পচে নষ্ট হচ্ছে কৃষকের বাঙ্গি
নাটোরের গুরুদাসপুরের কৃষকরা ২০ বছর ধরে বাঙ্গি চাষ করে আসছিলেন। এ বছর চাহিদা কম ও ন্যায্য মূল্য না থাকায় হতাশ তারা। ছবি: রেজাউল করিম রেজা
-
জমি থেকে সংগ্রহ ও পরিবহন খরচ না ওঠায় মাঠেই পচে নষ্ট হচ্ছে অনেক কৃষকের বাঙ্গি।
-
কৃষকেরা জানান, চাহিদা থাকা এবং লাভজনক হওয়ায় আগ্রহ নিয়ে বাঙ্গি চাষ করেছিলেন তারা। হঠাৎ এ বছর ক্রেতা শূন্যতা ও দরপতনে উৎপাদিত বাঙ্গি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
-
শ্রমিক মজুরি ও পরিবহন ব্যয় না ওঠায় এ ফল সংগ্রহে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকেরা। ফলে ক্ষেতেই পচে নষ্ট হচ্ছে অধিকাংশ বাঙ্গি।
-
উপজেলার পোয়ালশুড়া দড়িপাড়ার কৃষক আব্দুল ওয়াহাব জানান, এ বছর দুই বিঘা জমিতে বাঙ্গি চাষ করেছেন। সমপরিমাণ জমিতে গত বছর ৮০ হাজার টাকা বিক্রি হলেও এ বছর বিক্রি করেছেন মাত্র ১৮ হাজার টাকা। বাজারে ক্রেতা না থাকায় অনেক সময় বাঙ্গির স্তূপ ফেলেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।
-
উদবাড়িয়া গ্রামের কৃষকরা জানান, তারা অধিকাংশ বর্গা চাষি। প্রতি বিঘা জমির লিজ ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। লিজমূল্য, চাষ, বীজ, সার, পানি সেচ, শ্রমিক ও মজুরি মিলিয়ে প্রতি বিঘা রসুন চাষে খরচ লক্ষাধিক টাকা। রসুনের সাথী ফসল বাঙ্গি চাষে খরচের প্রায় অর্ধেক টাকা উঠে আসতো। কিন্তু এ বছর দাম না থাকায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারের কাছে প্রণোদনা ও সুদমুক্ত কৃষি ঋণের দাবি তাদের।
-
গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুনর রশিদ বলেন, গুরুদাসপুরের বাঙ্গির সুনাম দেশজুড়ে। এ বছর ৮৫০ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে। কিছুটা দরপতন হলেও চাষিদের খুব ক্ষতি হবে না।