মেহেরপুরের মাটিতে জাপানি মিয়াজাকি আম
বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম হিসেবে পরিচিত জাপানের ‘মিয়াজাকি’ আম এখন মেহেরপুরের মাটিতে। শহরের তরুণ উদ্যোক্তা মির্জা গালিব উজ্জ্বলের উদ্যোগেই এই অসাধারণ ফলের চাষ শুরু হয়েছে। আর তার এই সাহসী পদক্ষেপই বদলে দিচ্ছে জেলার আমচাষের চিরচেনা চিত্র। ছবি: আসিফ ইকবাল
-
প্রায় আড়াই বছর আগে সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামে ২ বিঘা জমিতে ৭৭টি মিয়াজাকি জাতের আমগাছ রোপণ করেন তিনি। ফল এসেছে ৫০টি গাছে। পরিচর্যা ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে তার ব্যয় হয়েছে প্রায় ২ লাখ টাকা। তবে এই খরচ যে সফলতার গল্প বলবে, তা আগেই বুঝেছিলেন উজ্জ্বল। কেননা, এই জাতের এক কেজি আমের আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ওঠে।
-
উজ্জ্বল জানান, এক দশক আগে জাপানপ্রবাসী এক আত্মীয় বেণু খাতুনের কাছ থেকে মিয়াজাকি আমের বিষয়ে প্রথম শুনেছিলেন তিনি। তখন থেকেই স্বপ্ন বুনেছিলেন দেশেই এই ফল উৎপাদনের। নাটোর থেকে গাছ এনে শুরু করেন তার যাত্রা। এই আমের বিশেষত্ব হচ্ছে এর ঔষধি গুণ।
-
তিনি বলেন, ‘চলতি বছর ফল বিক্রি করব না। এখনো স্থানীয় বাজারে এ আমের কোনো দাম নির্ধারিত হয়নি। তবে আগামী বছর থেকে সুপারশপগুলোতে বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে। চাহিদা বাড়লে বাগান আরও বড় করবো।’
-
এই নতুন রঙের, খয়েরি টোনের আকর্ষণীয় আম দেখতে এরইমধ্যে ভিড় জমাচ্ছেন এলাকাবাসী ও অন্যান্য বাগান মালিকেরা। কেউ আগে এমন আম দেখেননি।
-
মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সামসুল আলম বলেন, মিয়াজাকি আম শুধু সুস্বাদুই নয়, এতে রয়েছে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, ক্যানসার প্রতিরোধ এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর গুণ। কৃষকদের এই জাতের আম চাষে উদ্বুদ্ধ করতে আমরা সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছি।