জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বস্তায় আদা চাষ
নারায়ণগঞ্জ শহরে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বস্তায় আদা চাষ। প্রথমে কয়েক বস্তার মধ্য দিয়ে শুরু করলেও দিন দিন বস্তার পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে। বাড়ির আঙিনা কিংবা আশপাশের পতিত জমি অথবা জমির একপাশে বস্তায় এই আদা চাষ করছেন। কেউ কেউ আবার পরিবারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবেও আদা চাষের পরিকল্পনা করছেন। ছবি: মোবাশ্বির শ্রাবণ
-
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, বস্তায় আদা চাষের খরচ অনেক কম। বস্তাপ্রতি ৫০-৬০ টাকা খরচ করে প্রায় ১ থেকে দেড় কেজি আদা পাওয়া যায়। যার মাধ্যমে একটি পরিবার কয়েকটি বস্তায় আদা চাষ করে সহজেই পরিবারের চাহিদা মেটাতে পারে। এর জন্য তেমন খরচ হয় না। যদি কেউ বাণিজ্যিকভাবে চাষ করতে চান; সেক্ষেত্রেও খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না।
-
নারায়ণগঞ্জ শহরের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান টুলু। তিনি অনেকদিন ধরেই গার্মেন্টস ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তিনি তার গার্মেন্টসের পাশে পতিত জায়গায় একটি বাগান গড়ে তুলেছেন। সেই বাগানের একটি অংশে বস্তায় আদা চাষ করছেন। তিনি বলেন, ‘আমার অনেক দিন ধরেই বাগানের অভিজ্ঞতা আছে। একদিন ইউটিউবে দেখলাম বস্তায় আদা চাষ হচ্ছে। তখন কৃষি অফিসারকে বললাম, আমি বস্তায় আদা চাষ করতে চাই। তিনি আমাকে সহযোগিতা করলেন। প্রথম ৩০ বস্তায় আদা চাষ করলাম এবং বাম্পার ফলন হলো। এবার আমি ১০০ বস্তায় আদা চাষ করছি। যদি এবার ভালো হয় তাহলে সামনের বছর বাণিজ্যিকভাবে ৫০০ বস্তায় চাষ করবো।’
-
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শম্পা ইসলাম নওরিন বলেন, ‘শহরে যেহেতু কৃষিজমির পরিমাণ কম। তাই বস্তায় আদা চাষের মাধ্যমে মসলা জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা লাভজনক পদ্ধতি। অল্প জায়গায় আদা চাষ করা যাবে। প্রতি বস্তায় প্রায় কেজি পরিমাণ আদা চাষ করা যায়। একটি পরিবারের চাহিদা সহজেই পূরণ করা যায়। খুব বেশি ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন হয় না।’
-
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মাহমুদা হাসনাত বলেন, ‘আমাদের উপজেলায় আদা চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর সুবিধা হচ্ছে আদা ছায়াযুক্ত স্থানে হয়। সহজেই স্থানান্তর করা যায়। বাইরে থেকে মাটি এনে চাষ করা যায়। খুব বেশি জায়গারও প্রয়োজন হয় না। অল্প খরচেই করা যায়। বাসার ছাদেও চাষ করা যায়। এর মধ্য দিয়ে মসলা জাতীয় ফসলের চাহিদা পূরণ হয়। এটি স্বাস্থসম্মত নিরাপদ খাদ্য। পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা সহজেই পূরণ করা যায়।’