দেশকে রক্ষা করতে মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে: দুদু

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৫৯ পিএম, ১২ মার্চ ২০২৫
জাতীয় প্রেস ক্লাবে দোয়া ও ইফতার মাহফিলে কথা বলছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, অনেকেই জাতীয় নির্বাচনকে আটকে দিয়ে নানা ছুতোয় দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি করছে, এর কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হতে পারে। তাই বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হলে সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।

বুধবার (১২ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পরিষদের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

দুদু বলেন, বিএনপি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও এই দেশের জনগণের দল। এই দলকে যারা ভয় পায় তারাই নির্বাচন আটকে দিতে চাচ্ছে। এই দল নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে বাঁচাতে চাচ্ছে। এটায় যারা বাধা দিচ্ছে তারাই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে বাধা দিচ্ছে। নানা ছুতোয় যে পরিস্থিতি তৈরি করছে তার কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হতে পারে। তাই বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হলে সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশের জনগণই নির্ধারণ করবে কে দেশ পরিচালনায় যোগ্য, কারা দেশ পরিচালনা করতে পারে, কারা দেশ রক্ষা করতে পারে। তাই অতি দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিয়ে মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন। তাহলেই সব বালা মুসিবত থেকে দেশ রক্ষা পেতে পারে। তা না হলে দেশ বিপদের মধ্যে থাকবে।

আরও পড়ুন

বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে দুদু বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ছয়টি বছর জেল খাটিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া হলেন ঐ নেত্রী যিনি সারা বিশ্বের প্রথম মুসলিম মহিলা প্রধানমন্ত্রী। তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। তিনি নয় বছর ধরে স্বৈরাচারীর বিরুদ্ধে আপসহীনভাবে আন্দোলন করেছেন। বাংলাদেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করেছিলেন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, দেশের মানুষ যখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ডাকে স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে, তখন শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে এক বক্তৃতায় বলেছিল এরশাদের অধীনে যে নির্বাচনে যাবে সে জাতীয় বেইমান। কিন্তু তিনি ঢাকায় এসে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। শেখ হাসিনা হলেন জাতীয় বেইমান। আর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হলেন দেশপ্রেমিক। এ পার্থক্যটা সহজেই করা যায়। খালেদা জিয়া এখন অসুস্থ, তিনি লন্ডনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তারপরও তিনি বারবার বলছেন, তিনি এদেশে ফিরে আসবেন । এই আন্দোলনের সময় তিনি বলেছিলেন বিদেশে আমার বন্ধু আছে, কিন্তু প্রভু নাই। এমন একটা মানুষের আমরা চিকিৎসা দিতে পারিনি।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মুক্তার আখন্দের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, তাঁতি দলের যুগ্ম আহবায়ক মনিরুজ্জামান মনির, কৃষকদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক সাদী, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।

কেএইচ/এএমএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।