‘সংস্কারের নামে নির্বাচন পেছানোর নতুন নতুন ফাঁদ তৈরি করা হচ্ছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৮:৪৮ পিএম, ১৭ জুলাই ২০২৫

সংস্কারের নামে জাতীয় নির্বাচন পেছানোর নতুন নতুন ফাঁদ তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল। তিন বলেন, নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হলে জনগণ তা প্রতিহত করবে।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রামে পুরোনো রেলস্টেশনের সামনে সরকারের নির্লিপ্ততায় সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত মহানগর যুবদলের বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তির সভাপতিত্বে ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব নাজিমুর রহমান।

মীর হেলাল হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার আন্দোলন-সংগ্রামের নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের দুঃসাহস দেখাবেন না। তারেক রহমান বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়। তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার সহ্য করা হবে না। জনগণ জানে কারা এই অবৈধ শক্তি, কারা এই অপ্রচারের পেছনে কাজ করছে। তাদের এই ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসা উচিত।

মীর হেলাল বলেন, সংস্কারের নামে জাতীয় নির্বাচন পেছানোর নতুন নতুন ফাঁদ তৈরি করা হচ্ছে। অথচ বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচিতেই সব প্রকার গণতান্ত্রিক সংস্কারের রূপরেখা রয়েছে। নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হলে জনগণ তা প্রতিহত করবে। এ সময় জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারই কেবল স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে পারবে।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব নাজিমুর রহমান বলেন, দুটি ইসলামী দল ভারতের ‘র’ এর এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে। এর মধ্যে একটি ইসলামী রাজনীতিক দলের রক্তাক্ত ইতিহাস পাকিস্তানি দোসর থেকে শুরু করে এরশাদ ও শেখ হাসিনার সহযোগী হিসেবে তাদের ভূমিকা বাংলাদেশের মানুষ ভুলে যায়নি।

এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মহানগর যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন, সাবেক সহ সভাপতি আজমল হুদা রিংকু, নুর আহমেদ গুড্ডু, এস এম শাহ আলম রব, শাহেদ আকবর, এম এ রাজ্জাক, ফজলুল হক সুমন, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল গফুর বাবুল, সাহাবুদ্দিন হাসান বাবু, মোহাম্মদ মুছা, মিয়া মো. হারুন, হায়দার আলী চৌধুরী, জসিমুল ইসলাম কিশোর, মজিবুর রহমান, এডভোকেট ফিরোজ আলম, অরূপ বড়ুয়া, মোহাম্মদ আলী সাকি, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুর রহমান মাসুম, মো. হুমায়ুন কবির, মো. সেলিম খান, ইকবাল পারভেজ, এরশাদ উল্লাহ, মো. এরশাদ হোসেন, দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, শাহীন পাটোয়ারী, ইকরামুল হক ছুট্টো, হেলাল হোসেন, গুলজার হোসেন, রাজন খান, জাহাঙ্গীর আলম বাচা, ওসমান গনি, শাহজালাল পলাশ, মজিবুর রহমান রাসেল, আহাদ আলী সায়েম।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, নুর হোসেন উজ্জ্বল, জিল্লুর রহমান জুয়েল, মুহাম্মাদ সাগির, এডভোকেট নাজমুল হাসান সিদ্দিকী, জসিম উদ্দিন সাগর, গাজী ফারুক, মোহাম্মদ আলী, মহিউদ্দিন মুকুল, এস এম বখতেয়ার উদ্দিন, ইফতেখার শাহরিয়ার আজম, মোহাম্মদ ইকবাল, আসাদুজ্জামান রুবেল, সাবেক সহ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, মনোয়ার হোসেন মানিক, কমল জ্যৌতি বড়ুয়া, কামরুল ইসলাম, মনজুরুল আলম মঞ্জু, মোহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম শাহেদ, জহিরুল ইসলাম জহির, হামিদুল হক চৌধুরী, মাস্টার ফজলুল রহমান, ইব্রাহিম খান, আনোয়ার হোসেন আনু, আরিফ হোসেন, ইয়াছিন আজাদ, মেজবাহ উদ্দিন মিন্টু, আবুল কালাম, নুরুল ইসলাম আজাদ, আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ কলিম উল্লাহ, সোহাগ খাঁন, সাইফুল হক সিকদার, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আব্দুস সাত্তার, আব্দুল করিমসহ প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল পুরোনো রেলস্টেশন চত্বর থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আন্দরকিল্লা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

এমআইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।