এনসিপির আকরাম

হল কমিটি ছাড়া কারও পক্ষে ক্যাম্পাসে স্ট্রং রাজনীতি করা সম্ভব নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:২৯ পিএম, ০৯ আগস্ট ২০২৫
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব আকরাম হোসেন

হল কমিটি ছাড়া কারো পক্ষে ক্যাম্পাসে স্ট্রং রাজনীতি করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক আকরাম হোসেন।

তিনি বলেন, হল সংসদ নির্বাচনে যাদের হল কমিটি যত স্ট্রং থাকবে তারা তত ভালো করবে। যার কারণে শিবির ও ছাত্রদলের হল কমিটি আছে। তারা ক্যাম্পাসে সবচেয়ে স্ট্রং রাজনীতি করতে পারবে। আর যাদের নেই তারা দুর্বল রাজনীতি করবে।

শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

ওই পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, আবাসিক হলের রাজনীতির মূল সমস্যা হলো আসন সংকট। সিট সংকট থাকলে হল কমিটি থাকুক বা না থাকুক, শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক নেতাদের কাছে সুপারিশের জন্য যেতেই হয়। কারণ, হলের আসন সীমিত হলে ছাত্রনেতাদের সুপারিশ ছাড়া সিট পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।

তিনি বলেন, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য এ সমস্যা আরও প্রকট। হলে উঠতে হলে তাদের কোনো না কোনো সিনিয়রের দ্বারস্থ হতে হয়। যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষার্থীদের জন্য আসন নিশ্চিত করা যায়, তাহলে হল কমিটি থাকলেও কোনো সমস্যা হবে না, কারণ তখন শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক নেতাদের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।

এনসিপির এ নেতা বলেন, আবাসিক হলগুলোতে সিট পাওয়াকে প্রায়ই অনুগ্রহ হিসেবে দেখা হয়, কিন্তু এটি প্রকৃতপক্ষে শিক্ষার্থীদের অধিকার। একজন শিক্ষার্থী হাজার হাজার প্রতিযোগীর সঙ্গে লড়াই করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায়। তাই তাদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত থাকা-খাওয়া এবং বিশ্বমানের পড়াশোনার পরিবেশ নিশ্চিত করা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, হলের সিট বণ্টনের দায়িত্ব যদি সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল ও এআইয়ের (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়, তাহলে সুপারিশ বা রাজনৈতিক প্রভাবের মাধ্যমে সিট পাওয়ার এ সংস্কৃতি বন্ধ করা সম্ভব হবে।

এমএইচএ/কেএইচকে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।