লকডাউনে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের দাবি
করোনাভাইরাস সৃষ্ট লকডাউন পরিস্থিতিতে ও আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে কর্মহারা দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বিশেষ রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবি জানানো হয়েছে। এছাড়াও রাষ্ট্রীয় খরচে ব্যাপকহারে করোনা টেস্টের উদ্যোগ গ্রহণ, শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফসহ বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স (বিইউপিএ) জোট।
শনিবার ( ১০ এপ্রিল) রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ জোটের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সভায় এই দাবি জানান তারা।
জোটের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলনের চেয়ারম্যান আশরাফ আলী হাওলাদারের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক বাস্তবতায় সৃজনশীল লকডাউন ব্যবস্থা চালু করার সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে করোনা সংক্রমিত এলাকায় পর্যাপ্ত ফিল্ড হসপিটাল চালু করা, লকডাউন চলাকালে নিম্ন আয়ের ভাড়াটিয়াদের বাড়িভাড়া মওকুফ করা, নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা বাস্তবায়ন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও হকারদের ব্যবসায়িক ক্ষতিপূরণে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের যৌথ প্রণোদনার স্কিম দ্রুত বাস্তবায়ন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে সিন্ডিকেটের কারসাজি ও খাদ্যে ভেজাল বন্ধে মনিটরিং জোরদার করার সুপারিশ করা হয়।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন জোটের সমন্বয়কারী ও কৃষক মোর্চার আহ্বায়ক মোহাম্মদ মাসুম, জোটের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী পার্টির চেয়ারম্যান আমান উল্লাহ শিকদার, জোটের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ পঞ্চায়েত পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. রহিম শেখ, জোটের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ ইসলামিক গণতান্ত্রিক লীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন জোটের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ ন্যায় বিচার পার্টির চেয়ারম্যান মো. হোসেন লিটন, জোটের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ ভাড়াটিয়া কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. সিরাজ মাস্টার, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলনের ভাইস চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক তাজেম, কৃষক মোর্চার সমন্বয়কারী গোলাম মোস্তফা, গণতান্ত্রিক ছাত্র মুক্তি আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেনসহ বাংলাদেশ ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ অ্যালায়েন্সের (বিইউপিএ) বিভিন্ন স্তরের নেতারা।
এইচএস/এআরএ/এমকেএইচ