করোনায় মৃত শ্রমিকদের ৫০ লাখ টাকা সহায়তার দাবি নজরুলের
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া শ্রমিকদের প্রত্যেকেকে ব্যাংক কর্মকর্তাদের মতো আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
আজ শনিবার (১ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে তিনি এ দাবি জানান।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, করোনায় ব্যাংক কর্মকর্তারা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তাদের জন্য ৫০ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। আমরা এটাকে সাধুবাদ জানাই। পাশাপাশি রাষ্ট্রের মূল উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে যে শ্রমিক শ্রেণিকেও ব্যাংক কর্মকর্তাদের মতো সমান আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানাই।
তিনি বলেন, কিছুদিন আগে মে দিবসের ১০০ বছর পালন করলাম। দেখতে দেখতে সেটা ১৩৫ বছর হয়ে গেলেও মে দিবসের চেতনা আমরা এখনো বাস্তবায়ন করতে পারিনি। আজও শ্রমিকদেরকে ৮ ঘণ্টার ওপরে কাজ করানো হয়। অতিরিক্ত মজুরি দেয়া হয় না। এছাড়া বেশি কাজ করানোর ফলে নতুন শ্রমিক সৃষ্টি হচ্ছে না।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, করোনায় লাখো শ্রমিক বেকার হয়ে গেছে। তাদের জীবন-জীবিকা চালানোর উপায় পাচ্ছে না। কাজ করতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেও শ্রমিকদের কিছুই দেয়া হচ্ছে না। সরকার মালিকদেরকে প্রণোদনা দিচ্ছে কিন্তু শ্রমিকদের ঠিকমতো মজুরি দিচ্ছে না। শ্রমিকদের এই রোজার মাসে কর্মঘন্টা কমানোর কথা বলায় বাঁশখালীতে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই ও বিচার চাই।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা আরও বলেন, সরকারের কাছে দাবি জানাই শ্রমিকদের মধ্যে যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন তাদেরকে ব্যাংক কর্মকর্তাদের মতোই ৫০ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেয়া হোক। এই করোনার মধ্যে শ্রমিকদের রেশনিং ব্যবস্থা এবং ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করা হোক । যতক্ষণ না পর্যন্ত শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায় না হবে দল-মত-নির্বিশেষে শ্রমিক কর্মচারি ঐক্যপরিষদের ব্যানারে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
এ সময় তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করেন।
শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আযাদ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। সমাবেশ শেষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তারা শোভাযাত্রা করে।
কেএইচ/এএএইচ/এমএস