দেশের গণমাধ্যম ধ্বংসের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার: ফারুক

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৩২ পিএম, ৩১ মার্চ ২০২৩
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জয়নাল আবদিন ফারুক/ছবি: সংগৃহীত

সরকার দেশের গণমাধ্যম ধ্বংসের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেন, ‘প্রথম আলোর রিপোর্টারকে গ্রেফতার করেছেন, সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন। বাংলাদেশের গণমাধ্যম ধ্বংসের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। কী বার্তা দিতে চাচ্ছেন? বলতে চাচ্ছেন যে, কেউ লেখালেখি করবেন না। সামনে আপনারা আবার ক্ষমতায় যাবেন। এ কৌশল বিএনপির কাছে আর টিকবে না। জাতীয়তাবাদী শক্তি বিএনপি ও তারেক রহমানের কৌশলের কাছে আপনারা পরাজিত হবেন।’

শুক্রবার (৩১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান মুছাব্বিরের নিঃশর্ত মুক্তি ও ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ মানববন্ধন করা হয়। ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে এ কর্মসূচি করা হয়।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, বিএনপিকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করছেন। একইসঙ্গে যেসব সাংবাদিক দেশের স্বার্থে লেখালেখি করছেন, আপনারা তাদের বাধা দিচ্ছেন। মুখও বন্ধ করে দিতে চাইছেন।

শেখ হাসিনার অধীনে দেশে কোনো নির্বাচন বিএনপি হতে দেবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, জীবন দেবো, জেলে যাবো। তবুও খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এ দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেবো না। পুলিশের জোর দেখাচ্ছেন, কতিপয় পুলিশ দ্বারা, সব পুলিশ নয়। আমাদের আটকে রাখবেন? আর পারবেন না। ১৭ জন প্রাণ দিয়েছেন, ১৭ হাজার প্রাণ দেবেন। তবুও আপনার (শেখ হাসিনা) অধীনে এ দেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নেতাকর্মীদের মুক্তি কার কাছে চাইবো? মুক্তি আর চাইতে চাই না, মুক্তির দাবি আর করতে চাই না। এ ভোট চোর, কবর থেকে উঠে আসা মানুষের ভোটে নির্বাচিত সরকার বড় বড় কথা বলে। যারা টাকা লুট করে কানাডায় বেগমপাড়া করেছেন, যারা টাকা লুট করে দুবাই, ব্যাংককে বাড়ি করেছেন। তাদের কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তি, মুছাব্বিরের মুক্তি, রিজভীর মুক্তি আমি দাবি করতে চাই না।’

জয়নাল আবদিন ফারুক বলেন, ‘আপনারা (আওয়ামী লীগ) যতই কৌশল করেন, নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে যতই চিঠি দেন। আমরা আর যাচ্ছি না। বিশ্বাস করেছিলাম ২০১৮ সালে, গণভবনে আন্তরিকতার সঙ্গে আমার দল বিএনপি সেদিন গিয়েছিল। কিন্তু আপনারা মুনাফিকি করেছেন। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে হযেছে। ২০১৪ সালেও বিনা ভোটের নির্বাচন করে ক্ষমতা চালিয়েছেন, সেদিন আর নেই। এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারেক রহমান, তার কৌশলের কাছে আপনারা পরাজিত হবেন।’

ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি গাজী রেজওয়ানউল হোসেন রিয়াজের সভাপতিত্ব মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান প্রমুখ।

কেএইচ/এএএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।