ভাসানীর সংগ্রামী আদর্শের কোনো মৃত্যু নেই: বাংলাদেশ ন্যাপ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫৬ পিএম, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

আগামীকাল ১৭ নভেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও মুক্তযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী পালনের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এ আহ্বান জানিয়ে বলেন, গণমানুষের মুক্তি আন্দোলনের মহান নেতা মওলানা ভাসানী বেঁচে থাকবেন অনাদিকালজুড়ে। এই দেশ ও এই জাতি যতদিন টিকে থাকবে, মওলানা ভাসানীকে কেউ অবহেলা কিংবা অবজ্ঞা করতে পারবে না। তার সংগ্রামী আদর্শের কোনো মৃত্যু নাই। ইতিহাসই তার সঠিক মূল্যায়ন করবে, তাতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই।

নেতৃদ্বয় বলেন, শুধু ক্ষমতা রাজনীতির লক্ষ্য নয় জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তার কর্মকাণ্ডে তাই প্রমাণ করেছেন মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী। তিনি আজীবন দেশের জন্য, মানুষের জন্য, মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন, কথা বলেছেন। এক কথায় মওলানা ভাসানী ছিলেন দুঃসাহসী ও চিরবিদ্রোহী রাজনীতিবিদ।

ন্যাপ চেয়ারম্যান ও মহাসচিব আরো বলেন, মওলানা ভাসানীর মতো আজীবন সংগ্রামী, দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিকে আমরা যথাযথ সম্মান দিতে পারি নাই। জাতি হিসাবে এটি আমাদের জন্য লজ্জার। ভাসানী একজন আদর্শিক রাজনীতির বাতিঘর। তার সংগ্রামী জীবন, বিদ্রোহী চেতনা ঘুমঘোরে আচ্ছন্ন জাতিকে অধিকার আদায়ের অনুপ্রেরণা যোগায়।

তারা বলেন, দু:খজনক হলেও সত্য একটা সুবিধাবাদী গোষ্ঠী সকল সময়ই মওলানা ভাসানীকে একান্তভাবেই তাদের নিজস্ব সম্পদ হিসাবে কুক্ষিগত করে রাখার চেষ্টা করতেন। নানা সুবিধাবাদী গোষ্ঠী মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীকে অনেকভাবে ব্যবহার করতে চেয়েছে তার জীবনসায়াহ্নে এমনকি তার মৃত্যুর পরও। যার ফলশ্রুতিতে এ মহান নেতার সঠিক মূল্যায়ন হয়নি কখনো। মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী মতো একজন জাতীয় নেতার জন্ম কিংবা মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয় না জাতীয়ভাবে। যা অত্যন্ত দু:খজনক ও লজ্জাজনক।

নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে দেখা যাবে, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে স্বায়ত্তশাসন, এমনকি স্বাধীনতার স্বপ্নের বিজ বপন করেছিল। মওলানা ভাসানী আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি চেতনার এক অভিন্ন নাম। আমাদের চেতনার দুটি স্রোতধারার মিলিত একটি মোহনা।

ন্যাপ নেতারা বলেন, আজকের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিও ছিলেন মওলানা ভাসানী। মওলানা ভাসানীকে তার প্রাপ্ত মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হলে আগামী ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবে না।

অন্যদিকে সকালে বাংলাদেশ ন্যাপের কেন্দ্রীয় নেতা আকরাম হোসেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ১৭ নভেম্বর টাঙ্গাইলের সন্তোষে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠ করবেন।

কেএইচ/এমআরএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।